নয়াদিল্লি: ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম তাদের নাগরিক নয়, কোনওদিন তাদের নাগরিক ছিল না। এমনই দাবি কমনওয়েলথ অফ ডমিনিকা সরকারের। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত খবর পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে তারা। অর্থের বিনিময়ে বা অন্য কোনও উপায়ে দাউদের মতো কুখ্যাত অপরাধী তাদের নাগরিকত্ব পায়নি বলে জানিয়েছে ডমিনিকা সরকার।


আরও দাবি করা হয়েছে, কোনও ব্যক্তিকে নাগরিকত্ব দেওয়ার আগে ভাল করে সবকিছু খতিয়ে দেখেন সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকেরা। যাতে ভবিষ্যতে এ নিয়ে কোনও সমস্যা তৈরি না হয়। ওই নাগরিক যাতে কোনওরকম অসুবিধায় না পড়েন, সেই বিষয়গুলিও মাথায় রাখা হয়।

ডমিনিকা সরকারের তরফে আরও জানানো হয়েছে, সেদেশের নাগরিকদের সুরক্ষা-নিরাপত্তা যাতে কোনওভাবে বিঘ্নিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে নাগরিকত্ব দেওয়ার আগে রীতিমতো গ্রাউন্ড রিসার্চ করা হয়।

১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মূল চক্রী আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ এত বছর ধরে ভারতের ‘মোস্ট ওয়াটেন্ড’ তালিকায় রয়েছে। ভারতের দাবি বরাবর অস্বীকার করে এলেও, সম্প্রতি পাকিস্তান স্বীকার করে নেয়, করাচিতেই রয়েছে দাউদ। কিন্তু সে কথা কবুল করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তা অস্বীকার করেন।

২০১৮ সাল থেকে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা এবং অর্থের জোগান বন্ধ করতে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ। পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করে তারা। এরপর আন্তর্জাতিক মঞ্চে সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে ইসলামাবাদ জানায়, দাউদ ইব্রাহিম, মাসুদ আজহার, হাফিজ সইদের মতো সন্ত্রাসবাদীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে তারা। এমনকী, অর্থের আদানপ্রদান বন্ধ করতে অ্যাকাউন্টও বাজেয়াপ্ত করা হবে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে করাচিতে বসবাসকারী হিসেবে দাউদের নাম করা হয়। পরে যদিও ঢোঁক গিলে ভিন্ন দাবি করে পাক সরকার।