ওয়াশিংটন: সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের অত্যাচারে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় মহাত্মা গাঁধীর মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনাকে মর্যাদাহানিকর বলে ব্যাখ্যা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।


২ জুন মধ্যরাতে ভারতীয় দূতাবাসের কাছে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা গাঁধীর মূর্তির উপর হামলা চালায়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ দায়ের করে ভারতীয় দূতাবাস। মেট্রোপলিটন পুলিশ, ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস ও মার্কিন বিদেশ দফতরকে এই ঘটনার তদন্ত করার আর্জি জানানো হয়। গাঁধীর মূর্তি পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার সদস্যদের পাশাপাশি ট্রাম্পের পরামর্শদাতা কিম্বারলি গিলফয়েলও গাঁধীমূর্তি ভাঙচুরের নিন্দা করেন। নর্থ ক্যারোলিনার সেনেটর টম টিলিসও এই ঘটনার নিন্দা করেন। ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেন জাস্টার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।

২০০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের উপস্থিতিতে ওয়াশিংটনে গাঁধীমূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। এবার সেই মূর্তিটিই ভাঙচুর করা হল।

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফরে এসেছিলেন ট্রাম্প ও মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। তাঁরা আমদাবাদে সবরমতী আশ্রমে গিয়েছিলেন। ট্রাম্প সেখানে গিয়ে চরকা কাটেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর মোতেরা স্টেডিয়ামে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানে গিয়ে গাঁধীর লবন সত্যাগ্রহের কথা উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পরের দিন নয়াদিল্লির রাজঘাটে গাঁধীর সমাধিস্থলে গিয়েও শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন করেন ট্রাম্প ও মেলানিয়া। কিন্তু তাঁদের দেশেই গাঁধীমূর্তির অবমাননা করা হল। স্বভাবতই নড়েচড়ে বসেছে মার্কিন প্রশাসন।