এই ধর্মগুরুর নাম তিলাহুন উলডেমাইকেল। তাঁর পৌত্র বিনিয়াম লিউলসেজেদ জানিয়েছেন, ‘আমার ঠাকুর্দার জন্ম শংসাপত্র নেই। ফলে তাঁর বয়স যে ১১৪ বছর, সেটা প্রমাণ করতে পারব না। তবে তাঁর শততম জন্মদিন পালন করার ছবি আছে। সেই সময় তাঁকে অনেক কমবয়সি মনে হচ্ছিল। তাঁকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখন আমরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। তবে তিনি ছাড়া পাওয়ার পর ভাল লাগছে। আমরা সবাই এখন আবার একসঙ্গে থাকছি। খুব আনন্দ হচ্ছে।’
ইথিওপিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তিলাহুনকে। তাঁকে হাসপাতালে অক্সিজেন ও ডেক্সামেথাসন নামে একটি সহজলভ্য স্টেরয়েড দেওয়া হয়। ইংল্যান্ডের গবেষকরা এই স্টেরয়েড প্রয়োগ করছেন। দেখা গিয়েছে, এই স্টেরয়েড প্রয়োগ করে গুরুতর অসুস্থ এক তৃতীয়াংশ ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠছেন। তিলাহুন সুস্থ হয়ে ওঠার পর এখন করোনার চিকিৎসায় ডেক্সামেথাসন ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে ইথিওপিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
ইথিওপিয়ায় এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৪২৫। মৃত্যু হয়েছে ৮৯ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১,৬৮৮ জন। আফ্রিকার এই দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্যোগ নিচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ১১৪ বছর বয়সে এই ধর্মগুরুর সুস্থ হয়ে ওঠা অন্য রোগীদের আশা জোগাচ্ছে।