এই চুক্তির বিষয়ে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন জানিয়েছেন, ‘এখনও পর্যন্ত যত ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বজুড়ে গবেষণা চলছে, তার মধ্যে সবচেয়ে আশাজনক হল বায়োএনটেক ও ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে গেলেই যত দ্রুত সম্ভব ইউরোপের সর্বত্র সরবরাহ করার পরিকল্পনা করছি আমরা। সেই কারণেই এই চুক্তি করা হচ্ছে।’
অন্যদিকে, আজই দিল্লি এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, ‘ফাইজার ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের যে পরীক্ষা চালাচ্ছে, তা বেশ উৎসাহব্যঞ্জক। কিন্তু এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা অত্যন্ত কঠিন। ভ্যাকসিন রাখতে হবে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়। যে দেশগুলির আয় কম বা মাঝারি, তাদের পক্ষে এই তাপমাত্রায় ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা বড় চ্যালেঞ্জ। ভারতের ছোট শহর, গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতে এত কম তাপমাত্রায় ভ্যাকসিন রাখা মোটেই সহজ হবে না।’
ফাইজারের ভ্যাকসিনের বিষয়ে গুলেরিয়া আরও বলেছেন, ‘ফাইজারের পক্ষ থেকে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তা বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখেননি। তবে এই তথ্য অত্যন্ত আশাপ্রদ। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ৪০ হাজারেরও বেশি রোগীর শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। প্রায় ৯০ শতাংশ ব্যক্তির শরীরে ভ্যাকসিনের সফল প্রয়োগের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই তথ্য ভালভাবে যাচাই করতে হবে। তবে এই তথ্য শুধু ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেই নয়, বিভিন্ন সংস্থার তৈরি অন্যান্য ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও আশাজনক। যে ভ্যাকসিনই তৈরি হোক না কেন, তা যেন করোনাভাইরাসের হাত থেকে সুরক্ষা দিতে পারে।’