বিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৭ সালে নাইটহুড দিয়ে সম্মান জানানো হয় পায়টকে। তিনি দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে জনস্বাস্থ্যের উপর ভাইরাসের প্রভাব আগে থেকেই বলে দিতে পারেন। কোনও ব্যক্তির ক্রনিক কিডনি বা হার্টের সমস্যা হবে কি না, সেটাও নির্ভুলভাবে বলে দিতে পারেন পায়ট। করোনা ভাইরাসের বিষয়ে তাঁর মত, ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত হয়ে যাবে এবং ভ্যাকসিন-বিরোধী প্রচার যাঁরা করছেন, তাঁরাও নিজেদের অবস্থান খতিয়ে দেখবেন। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও সংস্কার হবে।
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে পায়ট জানিয়েছেন, ’১৯ মার্চ থেকে আমার শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। প্রচণ্ড জ্বর, মাথাব্যথা শুরু হয়। মাথার খুলি ও চুলেো প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছিল। সর্দি-কাশি ছিল না। তবে তা সত্ত্বেও আমার মনে হচ্ছিল করোনা হয়েছে। আমি সারাজীবন ধরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। অবশেষে ওরা বদলা নিল। এক সপ্তাহ ধরে আমি স্বর্গ ও পৃথিবীর মাঝখানে দুলছিলাম। আমি এর আগে কোনওদিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়িনি। গত ১০ বছরে একদিনও অসুস্থতার জন্য ছুটি নিইনি। আমার স্বাস্থ্য ভাল। কিন্তু আমার বয়স ৭১ বছর। ফলে করোনার ঝুঁকি আছেই। তবে আমি আশাবাদী, সুস্থ হয়ে উঠব।’