নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে প্রতিবেশী পাকিস্তানেও। ৬০০ ছাড়িয়েছে সংখ্যাটা। তার মধ্যেই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) কোভিড-১৯ আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার সেন্টার তৈরি করা নিয়ে  প্রবল আপত্তি উঠেছে। মিরপুর সমেত অধিকৃত কাশ্মীরের নানা জায়গায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরির ইসলামাবাদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ চলছে। পাকিস্তান থেকে একজন কোভিড-১৯ আক্রান্তকেও পিওকে-তে এনে রাখা চলবে না, দাবি উঠেছে। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি হবে, খবরটা ছড়াতেই নানা জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয় পিওকে-র। মিরপুরে বিক্ষোভের পাশাপাশি মাঙ্গলা ব্রিজ অবরোধ করেন স্থানীয়রা।

সংবাদ সংস্থাকে জনৈক স্থানীয় বাসিন্দা বলেছেন, পিওকে-র পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে, কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার পর। মিরপুরের অবস্থা খুব খারাপ হচ্ছে।  মুজফররাবাদে বসে চিফ সেক্রেটারি  মুলতান, ডেরা গাজি খান, ঝিলম, পেশোয়ার, পাকিস্তানের অন্যান্য জায়গা থেকে অসুস্থ লোকজনকে মিরপুরে এনে রাখতে চাইছেন। তাঁর দাবি, ‘কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করতে হলে গুজর খান বা রাওয়ালপিন্ডিতে হোক না। কেন রোগাক্রান্ত লোকজনকে এই এলাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে? ১৬৩ জনের মধ্যে মাত্র ১৬ জন কাশ্মীরী। ওদের সবাইকে পিএকে-তে এনে ঢোকাতে চায় পাকিস্তান।’

সিন্ধ প্রদেশে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। মৃত সাড়ে ৩০০-র বেশি। পাশাপাশি ইরানের সঙ্গে  পাকিস্তানের টাফটান বর্ডারের কোয়ারেন্টাইন  শিবিরের  ভিতরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ব্যবস্থার অপ্রতুলতা, সেখানকার খারাপ জীবনযাপন অবস্থার অভিযোগ তুলেও উদ্বেগ জানাচ্ছে বহু মানুষ। কেউ কেউ এজন্য সরকারকে দায়ী করে রাস্তায় নেমেছেন প্রতিবাদ জানাতে।
একজন বলেছেন, চিফ সেক্রেটারির নির্দেশে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এলাকার কিছু প্লাজা, ভবনও দখল করেছে সেখানে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানাতে। কিন্তু সাধারণ মানুষ এর তীব্র বিরোধিতা করছেন। এখানকার মানুষজন কোনও পাকিস্তানিকে এখানে আসতে দেবেন না। করোনাভাইরাস সংক্রমণকে কাজে লাগিয়ে কাশ্মীরিদের সংখ্যালঘু করে কোণঠাসা করার চেষ্টা এটা। সংক্রমণে আক্রান্ত লোকজনকে ওরা ওদের ওখানেই রাখুক না!
যদিও পাকিস্তানি গুপ্তচর এজেন্সিগুলি স্থানীয় লোকজনকে চাপ দিয়ে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের জন্য কোয়ারেন্টাইন শিবির খোলার বিরোধিতা থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।