দুবাই: আজকাল বেশিরভাগই লেনদেন কার্ডে করি আমরা। দোকান বাজারের খরচাখরচ, অনলাইন কেনাকাটা, এমনকী ছেলেমেয়ের স্কুল কলেজের মাইনেও চুকিয়ে দিই ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডে। কার্ড ব্যবহারের সুবিধে অনেক, পকেটে টাকা নিয়ে ঘুরতে হয় না, যখন তখন পকেটমারির ভয় নেই, আবার খরচও যে সে জন্য থেমে থাকছে তা নয়। উল্টে ব্যাঙ্কে কত টাকা পড়ে রইল, কোথায় কী লেনদেন হল, সব চলে আসছে আপনার নখদর্পণে। কিন্তু এই কার্ড ব্যবহারের ঝক্কিও রয়েছে, জানেন? এই যে দুবাইয়ের এক ভদ্রলোক স্ত্রী ও বান্ধবী উভয়কেই পাশাপাশি ম্যানেজ করে চলছিলেন, সব ঠিকঠাক চলছিল দিব্যি। কিন্তু বৌয়ের কার্ডে স্ত্রীর জরিমানা চোকাতে গিয়েই কেলেঙ্কারি হয়ে গেল। মুহূর্তে ফাঁস হয়ে গেল তাঁর গোটা কীর্তি।

ভদ্রলোকের স্ত্রী ব্যাঙ্কের মারফত জানতে পারেন, অচেনা কারও ট্রাফিক জরিমানা মেটাতে তাঁর ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে, অথচ তিনি এ ব্যাপারে বিন্দুবিসর্গ জানেন না। এ নিয়ে দুবাই পুলিশের শরণাপন্ন হন তিনি। স্বামীর কীর্তিকলাপ তাঁর স্বাভাবিকভাবেই জানা ছিল না, তিনি ভাবেন, তাঁর ক্রেডিট কার্ড হ্যাক হয়ে গিয়েছে। এ নিয়ে দুবাই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তিনি। দুবাই পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। তদন্তের পর দুবাই পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর ক্যাপ্টেন আবদুল্লা আল শেহি জানিয়েছেন, মহিলার স্বামী তাঁর প্রেমিকার ট্রাফিক জরিমানা চোকাতে ওই কার্ড ব্যবহার করেছেন।

ক্যাপ্টেন আবদুল্লা আল শেহি জানিয়েছেন, এটা নজিরবিহীন ঘটনা। আসল ব্যাপার হল, না ওই মহিলার স্বামীর প্রেমিকা থাকার খবর জানতেন, না ওই প্রেমিকা জানতেন, ওই ভদ্রলোক বিবাহিত। তাঁর ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কারও ট্রাফিক জরিমানা মেটানো হয়েছে জানতে পেরে মহিলা ওই কার্ড ব্লক করে দেন। পুলিশেও খবর দেন, কার্ড হ্যাক হয়েছে বলে। তদন্তে জানা যায় গোটা ঘটনা। কিন্তু মুশকিল হল, এখন তো বৌ ও বান্ধবী দুজনেই ওই ভদ্রলোকের কীর্তিকলাপ জেনে ফেলেছেন, এবার কী করবেন তিনি?