ওয়াশিংটন: নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পর বহুদিন পর্যন্ত হার স্বীকারে নাছোড় ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শেষ পর্যন্ত একপ্রকার বাধ্য হয়ে হার স্বীকার করলেও ২০২৪-এর নির্বাচনেও নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখবেন বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। "চার বছর পরে আপনাকে দেখে নেব"----সাফ হুঁশিয়ারি রিপাবলিকান ট্রাম্পের।


মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ক্রিসমাস পার্টি ছিল। সেখানে উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেন ’’এটি একটি আশ্চর্যজনক চার বছর ছিল। আমরা আরও চার বছর করার চেষ্টা করছি। অন্যথায়, আমি আপনাকে চার বছরে দেখে নেব।‘‘ ট্রাম্পের এই বার্তা থেকেই স্পষ্ট ২০২৪ সালের ভোটে লড়াইয়ের বিষয়টি বিবেচনা করছেন।


গত ৩ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর তেমনভাবে জনসমক্ষে আসেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে একাধিকবার টুইট করেছেন।


যা নিয়ে কখনও বিতর্ক তৈরি হয়েছে, কখনও তা ভোটময়দানের জোরদার আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। ভোট-চুরির তত্ত্বে ট্রাম্প এখনও অনড় থাকলেও তাঁর কট্টর মিত্র বলে পরিচিত বিল বারের মন্তব্য নতুন করে নজর কেড়েছে। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, "আজ অবধি, আমরা এমন আকারে জালিয়াতি দেখিনি যে নির্বাচনে একটি ভিন্ন ফলাফল প্রভাবিত করতে পারে।"


বিল বার এমন কথা বললেও মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি যেদিন জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেবেন সেদিনই ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা যায় কি না, তা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে আলোচনা করতে চলেছেন হোয়াইট হাউসের বর্তমান বাসিন্দা।


মতে, ট্রাম্প কিছুটা কুসংস্কারে বিশ্বাসী। ট্রাম্প নিজে প্রকাশ্যে সেকথা স্বীকারও করেছেন। ২০২০ সালের ভোটের মনোনয়ন জমা করেছিলেন ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি। ২০১৬ সালে এইদিনেই তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন।


রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে ট্রাম্প যদি এবারও এমন করেন, তাহলে রাজনৈতিক ময়দানে আরও কিছুদিন প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখতে পারবেন। ফের খবরের শিরোনামে আসবেন।


কিন্তু, ট্রাম্পের মতো ব্যক্তিত্বের পক্ষে ধারাবাহিক ভাবে রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখা খানিকটা হলেও কঠিন। কারণ তিনি আর পাঁচজন রাজনীতিবিদের মতো নন। তিনি যা করেন তার বেশিটাই তাৎক্ষনিক।


তবে ট্রাম্প যদি ২০২৪ –এর নির্বাচনে আদৌ লড়েন বা জিতে ফেরেন তাহলে আমেরিকায় ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে। কারণ এখন পর্যন্ত একজন প্রেসিডেন্ট এর অধিকারী।


১৮৮৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড। কিন্তু পরের বার তিনি পরাজিত হন। যদিও তার চার বছর তিনি জিতে ফিরেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে।


৫৬ বছর বয়সী গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প একই সারিতে বসতে পারবেন কি না, তা সময় বলবে।