ইসলামাবাদ: ট্যুইটারে আর কাউকে ফলো করছেন না পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি সবাইকে আনফলো করে দিয়েছেন। এই তালিকায় আছেন তাঁর প্রথম স্ত্রী জেমাইমা গোল্ডস্মিথও।


ট্যুইটারে ইমরানের যে সরকারি অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেটি ২০১০ সালের মার্চে তৈরি। তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ১ কোটি ২৯ লক্ষেরও বেশি। কিন্তু তিনি কেন সবাইকে আনফলো করে দিলেন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। ট্যুইটার ব্যবহারকারীরা পাক প্রধানমন্ত্রীকে ট্রোল করছেন।

কিছুদিন আগে জানা যায়, ধর্ষককে শাস্তি দিতে নয়া আইন আনতে চলেছে ইমরান সরকার। ধর্ষণের ঘটনা কমাতে আরও কড়া হচ্ছে পাকিস্তানের আইন। রাসায়নিক প্রয়োগ করে পুরুষাঙ্গ অকেজো করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান সরকার। পাক সংবাদ চ্যানেল জিও টিভি সূত্রে এমনটাই খবর। যদিও পাক সরকার এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও ঘোষণা করেনি। খবরে প্রকাশ, ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলার বিচার হবে ফাস্ট ট্র্য়াক আদালতে যাতে সংশ্লিষ্ট মামলায় অযথা দেরি না হয়। সূত্রের খবর, ইমরান খান জানিয়েছেন, নতুন আইন হবে স্বচ্ছ এবং কঠোর। এটি অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তাই কোনওভাবেই যেন দেরি না হয়। দেশবাসীকে সুরক্ষা দেওয়া আমাদের কর্তব্য। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ধর্ষিতারা যাতে নির্ভয়ে অভিযোগ জানাতে পারেন সেই দিকে নজর দিতে হবে পুলিশ এবং প্রশাসনকে।
সংবাদ মাধ্য়মের খবর অনুযায়ী, ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলার বিচার হবে ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে। যাতে সংশ্লিষ্ট মামলায় অযথা দেরি না হয়। সূত্রের খবর, ইমরান খান জানিয়েছেন নতুন আইন হবে স্বচ্ছ এবং কঠোর। এটি অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তাই কোনওভাবেই যেন দেরি না হয়। দেশবাসীকে সুরক্ষা দেওয়া আমাদের কর্তব্য। পাক প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ধর্ষিতারা যাতে নির্ভয়ে অভিযোগ জানাতে পারেন সেদিকে নজর দিতে হবে পুলিশ এবং প্রশাসনকে। ধর্ষিতাদের পরিচয় গোপন রাখতে হবে এবং নিরাপত্তার ব্য়বস্থা করতে হবে।

জিও টিভির খবর অনুযায়ী, বৈঠকে কোনও কোনও মন্ত্রী ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন। জবাবে ইমরান জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে পুরুষাঙ্গ অকেজো করে দেওয়া হোক। তারপর ধাপে ধাপে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে পাক সরকার এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও ঘোষণা না করলেও তেহরিক-ই-ইনসাফ সেনেটর ফয়জল জাভেদ ধর্ষণ নিয়ে টুইট করেছেন, ধর্ষণ নিয়ে নতুন আইন পাক সংসদে পেশ করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে লাহৌরে বছর সাতেকের এক শিশুকে গণধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। ধর্ষকদের শাস্তি কী হবে, তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। এরপরই তৎপর হয় ইমরান সরকার। সূত্রের খবর, সম্প্রতি ইমরান জানান, ধর্ষণের ঘটনা এবং শিশু নিগ্রহ কমাতে ত্রি-স্তরীয় আইন আনবে সরকার। যৌন নিগ্রহকারীদের নাম নথিভুক্ত করা হবে, ধর্ষণকারীর দৃষ্টান্তমূলক সাজা ও কার্যকর পুলিশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।