এই অনাবাসী ভারতীয়র নাম টি এন কৃষ্ণকুমার। তিনি ১৯৮৮ সালে তিরুঅনন্তপুরমের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই আমিরশাহীতে আছেন। সেখানে ওই কলেজের প্রাক্তন পড়ুয়াদের নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও গড়ে তুলেছেন। সেই সংগঠন ইফতারের সময় শ্রমিকদের খাবার বিলি করেছে, ২০১৮ সালে কেরলে ভয়াবহ বন্যার সময়ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এবার আটকে পড়া শ্রমিকদের কেরলে ফেরত পাঠাল এই সংগঠন।
কৃষ্ণকুমার জানিয়েছেন, ‘আমি ৩২ বছর ধরে আমিরশাহীতে আছি। আমার বাবা-মা ছোটবেলা থেকেই শিখিয়েছেন, টাকাই জীবনের সবকিছু না। মানুষের জীবনের মূল্যবোধ সবসময় থাকা উচিত। সে কথা মেনে আমি সবসময় মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করি। গত বছর বড়দিনে আমার ছেলে রোহিত (১৯) বাড়ির কাছেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায়। ওর বন্ধু শরতের সঙ্গে ঘুরতে বেড়িয়েছিল। বাড়ি ফেরার সময় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছে ধাক্কা মারে। গাড়ি চালাচ্ছিল শরৎ। ও তার আগেরদিনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাইয়ে ফেরে। ওর জেটল্যাগ ছিল। ঘটনাস্থলে দু’জনেরই মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।’
কৃষ্ণকুমারদের সংগঠন ১৯১ জনকে কেরলে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। শুরুতে ৬ জনের টিকিটের দাম দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন কৃষ্ণকুমার। পরে আরও ৫৫ জনের টিকিটের দাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা কাজ হারিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। অনেকেরই বাড়ি ফেরার অর্থ ছিল না। আমি চেয়েছিলাম তাঁরা প্রিয়জনদের কাছে ফিরে যান। আমরা সবাই মিলেই তাঁদের সাহায্য করেছি।’