আগামী সপ্তাহ থেকেই দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে দেওয়া শুরু হবে করোনার ভ্যাকসিন। যারপর বাকি করোনা যোদ্ধাদেরও দেওয়া হবে প্রতিষেধক। দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে ২৭ কোটি দেশবাসীকে করোনা টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে কেন্দ্র।
ভারতে গণ টিকাকরণের খবর পেয়ে বিল গেটস জানিয়েছেন, ‘বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন ও ভ্যাকসিন প্রস্তুতির ক্ষমতার দিক থেকে ভারতের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। বিশ্ব থেকে কোভিড-১৯ অতিমারীকে শেষ করতে এই ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবে বলেই আশা রাখছি।’
শুধু বিল গেটসই নন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের প্রধান চিকিৎসক টেরডোস আধানোম গেব্রেইয়েসুস টুইটারে বলেছেন, ‘কোভিড অতিমারী রুখতে ভারতের পদক্ষেপ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের সবথেকে বড় ভ্যাকসিন নির্মাতা দেশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অতিমারীর প্রকোপ আমরা সামলাতে পারব বলেই আসা রাখি।’
এই মুহূর্তে যখন ব্রিটেন খুঁজে পাওয়া করোনা ভাইরাসের নয়া স্ট্রেনে ফের একবার বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের রেশ। তখন গোটা বিশ্বকে আশ্বস্তও করতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্বের সবথেকে বড় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী দেশ হিসেবে গোটা বিশ্বকে যথেষ্ট পরিমাণ টিকা সরবরাহ করে বিশ্বব্যাপী করোনা বিরোধী যুদ্ধে ভারত যথাসাধ্য চেষ্টা করবে বলেই জানিয়েছিলেন তিনি।
ইতিমধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্র্যাজেনিকা সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআরের যৌথ প্রচেষ্টা তৈরি কোভ্যাক্সিন, দুটি করোনা প্রতিষেধককেই ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)।
বিপুল জনসংখ্যার দেশে কীভাবে গণ টিকাকরণের পথে এগোনো হবে সেটা স্থির করতে ইতিমধ্যে দেশজুড়ে হয়ে গিয়েছে করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাই রান। যার মধ্যে ছিল পশ্চিমবঙ্গে তিনটি জায়গাও।