মস্কো: করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই নতুন বিপদ। রাশিয়ায় হানা দিয়েছে রক্তচোষা পোকা। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রক্তচোষা পোকার পরিমাণ ৪২৮ গুণ বেড়ে গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, রাশিয়ায় যে দু’ধরনের রক্তচোষা পোকা পাওয়া যায়, তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। সাইবেরিয়ার হাসপাতালগুলিতে ভ্যাকসিন, ওষুধ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে।


মধ্য রাশিয়ায় পোকার কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৮,২১৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ২,১২৫টি শিশু। এক বর্গকিলোমিটারের মধ্যে ২১৪টি পোকা ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। পোকার কামড়ে এনসেফেলাইটিস রোগ হচ্ছে। এর ফলে মস্তিষ্কে স্থায়ী ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া হৃদযন্ত্র, গাঁট, নার্ভাস সিস্টেমও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ২০১৫ সালে রাশিয়ায় এনসেফেলাইটিসে দেড় লক্ষেরও বেশি শিশুর মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবারও পোকার কামড়ে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ফলে চিকিৎসকরা চিন্তিত।

চিকিৎসক নিনা তিখুনোভা জানিয়েছেন, ‘শীতল আবহাওয়ার কারণে পোকার উৎপাত বাড়ছে। এই ধরনের পোকার কামড় মানুষের পক্ষে মোটেই সুখকর নয়। এই পোকা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তাই যাঁরা পোকার কামড় খেয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই চিকিৎসা করানো উচিত।’

করোনা মোকাবিলায় রাশিয়ায় লকডাউন চলছে। এরই মধ্যে রক্তচোষা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সবাইকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কারণ, হাসপাতালগুলিতে শিশুদের ওষুধ শেষ হয়ে গিয়েছে। জুলাইয়ের আগে এই ওষুধ আসছে না। এক মহিলাকে পোকা কামড়ামোয় তাঁকে ইঞ্জেকশন দিতে হবে। কিন্তু ইঞ্জেকশন না থাকায় চারদিন পরেও তাঁর চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি। এই মহিলাকে ইঞ্জেকশন দেওয়া সম্ভব হবে কি না, সেটা চিকিৎসকরাও বলতে পারছেন না।