বেজিং: করোনাভাইরাস, না নিউমোনিয়া, কোনটা বেশি মারাত্মক তা নিয়ে এবার চিনের সঙ্গে বাকযুদ্ধ  কাজাখস্তানের। মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তানে সাম্প্রতিক নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব নিয়ে সুরক্ষিত থাকার ব্যাপারে তাদের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে চিনের দূতাবাস। আর এই সতর্কবার্তা কাজাখস্তানের নিউমোনিয়াকে করোনাভাইরাসের থেকে আরও বেশি মারাত্মক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। যদিও চিনের এই সতর্কবার্তাকে সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে কাজাখস্তান।


অফিসিয়াল উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে চিনের দূতাবাস জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে আটিরাউ, আকটোবে, শিমকেন্টের মতো কাজাখ শহরগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যায় 'তাত্পর্য্যপূর্ণ বৃদ্ধি'র কথা তুলে ধরা হয়েছে।
শুক্রবার দূতাবাসের রিপোর্টের ভিত্তিতে চিনের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরকে 'ভুয়ো খবর' আখ্যা দিয়েছে কাজাখস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
মন্ত্রক জানিয়েছে, 'তাদের ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাল ও নিউমোনিয়া সংক্রান্ত সংক্রমণের তালিকা, যাতে অস্পষ্ট কারনে আক্রান্তের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা মেনেই করা হয়েছে'।
মন্ত্রক বলেছে, 'কাজাখস্তানে নতুন ধরণের নিউমোনিয়া সংক্রান্ত যে তথ্য চিনের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা সঠিক নয়'।
উল্লেখ্য, কাজাখস্তানে করোনার প্রাদুর্ভাব রুখতে চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় লকডাউন জারি হয়েছে। সে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ২৬৪ জনের। বৃহস্পতিবার একদিনে সবচেয়ে বেশি ১,৯৬২ জন আক্রান্ত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সরকারি সংবাদসংস্থা কাজিনফর্ম জানিয়েছে, 'এ বছর জুনে নিউমোনিয়া আক্রান্তর ঘটনা গত বছর এই সময়ের তুলনায় ২.২ গুণ বেড়েছে'।
চিনের দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল যে, 'কাজাখস্তানে চলতি বছরের প্রথমার্ধে নিউমোনিয়া প্রাণ কেড়েছে ১,৭৭২ জনের। এরমধ্যে জুনেই মৃত্যু হয়েছে চিনের নাগরিক সহ ৬২৮ জনের। এই রোগে মৃত্যুর হার নোভেল করোনাভাইরাসের কারণে নিউমোনিয়ার চেয়ে বেশি'।
তবে যে নিউমোনিয়ার কথা বলা হচ্ছে তা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত ভাইরাস বা ভিন্ন কোনও কারণে, তা স্পষ্ট নয়।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'কাজাখস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংস্থা তুলনামূলক সমীক্ষা করে দেখছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও কোনও উপসংহারে পৌঁছনো যায়নি'।
চিনের পিপলস ডেলি পরিচালিত গ্লোবাল টাইমস বলেছে , 'কাজাখস্তানের বিদেশমন্ত্রক চিনের দূতাবাসের সতর্কবার্তা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেয়নি'।