এই পার্টির জন্য সবার আগে ১৫০ জন মডেল রিসর্টে পৌঁছছিলেন। রাশিয়া, ব্রাজিল সহ অন্যান্য দেশ থেকে এই মডেলরা এসেছিলেন। তাঁদের প্রথমে ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হয়, কোনও রকম যৌন রোগ রয়েছে কিনা। যুবরাজের বন্ধুদের সঙ্গে পুরো একমাস কাটানোর কথা ছিল ওই মডেলদের।
যুবরাজ এসেছিলেন তাঁর সুবিশাল ৪৩৯ ফুটের জাহাজ নিয়ে। ঠিক এক বছর আগে এই ইয়ট বিল গেটস ভাড়ায় নিয়েছিলেন। এই সময়েই ভার্সাইয়ের কাছে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একটি বাড়িও কিনেছিলেন। যদিও শীঘ্রই এই উত্সব উদযাপনের পরিকল্পনায় বাধা আসে। মলদ্বীপের একটি প্রকাশনে এই পার্টির খবর ফাঁস হয়ে যায়। সেজন্য যে পার্টির এক মাস চলার কথা, তা এক সপ্তাহেই শেষ হয়ে যায়।
যুবরাজ সলমনের অর্থপ্রীতির একটি কারণ হল যে, ২০০০-র শুরুর দশকে তাঁর বাবাকে খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। সৌদি রাজতন্ত্রের মর্যাদার পক্ষে তা একেবারেই অনুকূল ছিল না। আর এই কারণেই নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তোলেন তিনি। প্রচুর অর্থোপার্জন যেমন করেছেন, তেমনি দুহাতে খরচও করেছেন। এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ব্যক্তিগত খরচ খরচার কথা বলতে গেলে আমি ধনী, গরিব নই।
যুবরাজ সলমনের মধ্যে সবসময়ই রয়েছে এগিয়ে যাওয়ার উদ্যম। এজন্য বন্ধুবান্ধব মহলে বলেন, আমাদের মধ্যে পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যত স্থির করার ক্ষমতা রয়েছে।