ওয়েলিংটন: করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় নিউজিল্যান্ড উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেলেও, একের পর এক ভুল কাজ করার জন্য জনগণের রোষের মুখে পড়ে পদত্যাগ করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডেভিড ক্লার্ক। তাঁর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আরদার্ন। তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের নেতৃত্বের প্রতি সধারণ মানুষের আস্থা থাকা জরুরি। ডেভিড আমাকে বলেছেন, ব্যক্তির চেয়ে দলের প্রয়োজনকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’ নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আপাতত শিক্ষামন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্সকে অস্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।

এপ্রিলে যখন নিউজিল্যান্ডে কঠোর লকডাউন জারি ছিল, তখন পরিবারের লোকজনকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে ১৯ কিলোমিটার দূরে সমুদ্র সৈকতে হাঁটতে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরে তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেন। সেই সময় নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, সাধারণভাবে এরকম করলে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করতেন। কিন্তু করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে বলে সেই পদক্ষেপ নেওয়ার বদলে দায়িত্ব কমিয়ে দিচ্ছেন।

কিন্তু এরপরেও নিজের আচরণ বদলাননি নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি গত সপ্তাহে দাবি করেন, স্বাস্থ্য বিভাগের ডিরেক্টর-জেনারেল অ্যাশলে ব্লুমফিল্ডের গাফিলতিতেই বাইরে থেকে আসা কয়েকজন করোনা পরীক্ষা ছাড়াই কোয়ারেন্টিন ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তিনি যখন এই অভিযোগ করেন, তখন তাঁর পিছনেই দাঁড়িয়েছিলেন ব্লুমফিল্ড। তিনি সে কথা শুনে হতবাক হয়ে যান। তাঁর প্রতিক্রিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তাঁর সমর্থনে সরব হন হাজার হাজার মানুষ। এরপরেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন ক্লার্ক।