নিউ ইয়র্ক: কয়েকদিন আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বায়োএনটেক সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ কার্যকর। এই ভ্যাকসিনের বিশেষ কোনও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। কিন্তু ফাইজারের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মুখ্য বিজ্ঞানী ড. মাইকেল ইয়াডনের মতে, ভ্যাকসিনের কোনও প্রয়োজনই নেই। কারণ, করোনার বিপদ আর সেভাবে নেই।

একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফাইজারের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস অতিমারী দূর করার জন্য ভ্যাকসিনের কোনও দরকার নেই। যাঁদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই, তাঁদের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে না। যে ভ্যাকসিন মানুষের উপর সেভাবে পরীক্ষাই করা হয়নি, সেটাই কোটি কোটি সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান মানুষের উপর প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করা যায় না।’

জরুরি পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকারের পরামর্শদাতা সংস্থা সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজার গ্রুপ ফর ইমার্জেন্সিসের (এসএজিই) সমালোচনা করেছেন মাইকেল। তাঁর মতে, ‘লকডাউন জারি করার পরামর্শ দিয়েছে ভুল করেছে এসএজিই। গত সাত মাস ধরে মানুষের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। বলা হয়েছিল, সবাই করোনা আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল, কিন্তু মাত্র সাতজন সংক্রমিত বলে জানা যায়। আমার মনে হয়, এটা অসম্ভব। হয় তাঁরা সারা বিশ্বের ক্লিনিক্যাল ইমিউনোলজিস্টদের অসাধারণ কাজকর্ম দেখেননি, না হয় উপেক্ষা করছেন। ইমিউনোলজিস্টরা জানিয়েছিলেন, ৩০ শতাংশ মানুষের শরীরে আগে থেকেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ছিল।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের চিফ সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইসার চিকিৎসক মনসেফ সালৌউ বলেছেন, ছাড়পত্র পাওয়া গেলে ১১ ডিসেম্বর থেকেই ভ্যাকসিন বণ্টন শুরু করা হতে পারে। স্বাস্থ্য দফতরের তৈরি করা খসড়া অনুযায়ী যাদের আগে ভ্যাকসিন প্রয়োজন, তাঁদের সকলকে প্রথম দিনেই ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন তিনি। কিন্তু এরই মধ্যে সম্পূর্ণ উল্টো মতপ্রকাশ করলেন ফাইজারের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট।