ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এক শুনানিতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনোলজির অধ্যাপক সারা গিলবার্ট জানিয়েছেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করেন ৮,০০০ স্বেচ্ছাসেবক। তাঁদের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে দেখা গিয়েছে, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। এই পরীক্ষা ভুল প্রমাণিত হয়নি। ফলে আমরা খুশি।’
বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছে। তবে সবচেয়ে বেশি আশা জাগিয়েছে অক্সফোর্ডের গবেষণা। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বেশি সংখ্যক মানুষের উপর পরীক্ষামূলকভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে কী ফল পাওয়া যায়, সেটা দেখার জন্যই তৃতীয় পর্যায়ের গবেষণা শুরু হয়েছে। করোনা সংক্রমণ থেকে মানুষকে কীভাবে রক্ষা করা যায়, সেটাই দেখা হচ্ছে এই পরীক্ষার মাধ্যমে। অধ্যাপক গিলবার্ট জানিয়েছেন, এ বছরের শেষদিকে ফের করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হলেও, তার আগেই ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাবে বলে তিনি আশা করেন।
ব্রিটিশ সরকারের ভ্যাকসিন বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কেট বিংহ্যাম জানিয়েছেন, অক্সফোর্ডের গবেষণা বাদ দিয়েও, ২০২১ সালের শুরুতেই সাফল্য পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদী।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনের অধ্যাপক জন বেল অবশ্য জানিয়েছেন, ‘আগামী শীতের আগেই ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাবে বলে আমার মনে হয় না। এই অতিমারীর শুরু থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে ধারণার উপর বড্ড বেশি নির্ভর করা হচ্ছে। পরে দেখা গিয়েছে, সেই ধারণাগুলি ভুল। তাই আমার পরামর্শ হল, খারাপ পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকা উচিত।’