নয়াদিল্লি: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যে গবেষণা চলছে, তার ফলে এ বছরের অক্টোবরের মধ্যেই করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করলেন জেনার ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর আদ্রিয়ান হিল। এই বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, শিম্পাঞ্জির উপর করোনার ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে ভাল ফল পাওয়া গিয়েছে। মানুষের শরীরে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করার পর্যায়েও পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা।


বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছে। তবে অ্যাসট্রাজেনেকার সঙ্গে যৌথভাবে অক্সফোর্ডের গবেষণা নিয়েই সবচেয়ে বেশি আশা দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ব্রাজিলে মানুষের উপর এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। এই ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে প্রয়োগের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন কতটা কাজে দেবে, সেটা নিয়েই এখন গবেষণা চলছে।

অক্সফোর্ডের গবেষকরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকাতেও প্রথমবার এক ব্যক্তির শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার মোট ২,০০০ ব্যক্তির শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। ব্রিটেনে চার হাজারেরও বেশি মানুষ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। আরও ১০,০০০ মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।

সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে অধ্যাপক হিল জানিয়েছেন, ‘শিম্পাঞ্জির উপর ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করে খুব ভাল ফল পাওয়া গিয়েছে। মানুষের উপর প্রয়োগের জন্য পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে এই ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিনের একটা সুবিধা হল, গত বছর যে পরীক্ষা হয়েছিল, তার ভিত্তিতেই এবারের গবেষণা চালানো হচ্ছে। মানুষের উপর প্রয়োগ করে দেখা গিয়েছে, কোনও ক্ষতি হচ্ছে না। অগাস্ট বা সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে কাঙ্খিত ফল পাওয়া গেলে, অক্টোবরের মধ্যেই বাজারে ছাড়া হতে পারে ভ্যাকসিন।

অ্যাসট্রাজেনেকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে। ব্রাজিলের কার্যনির্বাহী স্বাস্থ্যমন্ত্রী এদুয়ার্দো পাজুয়েলো জানিয়েছেন, তাঁদের দেশেই ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য অক্সফোর্ডের সঙ্গে চুক্তি করতে চলেছেন।

অন্যদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে সব দেশকে সতর্ক করে দিয়ে জানানো হয়েছে, যে দেশগুলিতে সংক্রমণের হার কমে গিয়েছিল, সেখানে আবার নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। ফলে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।