ইসলমাবাদ: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের প্রধান শাহবাজ শরিফ করোনা আক্রান্ত। আজ এই খবর জানিয়েছেন তাঁর দলের নেতা আয়াতুল্লাহ তারার। তাঁর দাবি, ‘মঙ্গলবার অর্থপাচারের মামলায় ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোয় (এনএবি) যাওয়ার পরেই সংক্রমিত হন শাহবাজ। এনএবি-কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল, শাহবাজ শরিফের ক্যান্সার হয়েছিল। অন্যদের তুলনায় তাঁর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। শাহবাজ শরিফ করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। এনএবি-তে যাওয়ার জন্যই তিনি বাড়ির বাইরে যান। তাঁর যদি কিছু হয়, তাহলে দায়ী থাকবেন ইমরান নিয়াজি (পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী) ও এনএবি।’

পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ সূত্রে খবর, শাহবাজের পক্ষ থেকে এনএবি-তে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, ‘সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকজন এনএবি আধিকারিক করোনা আক্রান্ত। দয়া করে মাথায় রাখবেন, আমার ক্যান্সার হয়েছিল এবং ৬৯ বছর বয়স। আমার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। সেই কারণে বেশি লোকজনের কাছাকাছি না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।’ কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি এনএবি আধিকারিকরা।

পাকিস্তানে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,১৯, ৫৩৬। তাঁদের মধ্যে আছেন অন্তত ১০০ জন এমপি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসি, রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ, পঞ্জাব প্রদেশের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী খোয়াজা সলমন রফিক, সিন্ধ প্রদেশের গভর্নর ইমরান ইসমাইল, পার্লামেন্টের স্পিকার আসাদ কাইজার, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী ইনায়াতুল্লা খান, মন্ত্রী চৌদুরী ফাওয়াদ হুসেইনও করোনা আক্রান্ত। এক মন্ত্রী সহ চার জনপ্রতিনিধির করোনায় মৃত্যু হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানের পর পাকিস্তানেই করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। পাকিস্তান সরকারকে চিঠি দিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে দু’সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন জারি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।