ইসলামাবাদ: পাকিস্তান চিনে আজ বিশেষ বিমান পাঠাচ্ছে। চিনের সব মরশুমের বন্ধু পাকিস্তান। চিন তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ৫০ লক্ষ ভ্যাকসিনের ডোজ পাঠাবে। প্রথম দফার ডোজ আনতে বিমান পাঠাচ্ছে চিন।
কীভাবে ভ্যাকসিন বণ্টন সম্পন্ন করবে, তা নিয়ে শনিবার ইসলামাবাদে বৈঠকে বসেছিল ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার (এনসিওসি)। সেখানে কথা হয়, ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি রূপায়ণে প্রস্তুত দেশ। সেখানেই বলা হয়, রবিবার প্রথম দফার ভ্যাকসিন ডোজ নিয়ে আসার জন্য একটি বিশেষ বিমান যাবে চিনে।
পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি গত ২১ জানুয়ারি চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং লি-র সঙ্গে কথা হওয়ার পর জানিয়েছিলেন, বেজিং ৩১ জানুয়ারি নাগাদ ৫ লক্ষ করোনা ভ্যাকসিন ডোজ দেবে। বেজিং তাঁদের এজন্য একটি বিমান পাঠাতে বলেছে বলেও তখন জানান কুরেশি।
জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য চিনের তৈরি সিনোফার্ম কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সহ দুটি বিদেশি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে পাকিস্তান। এনসিওসি পরে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ইসলামাবাদে ভ্যাকসিন মজুত করার যাবতীয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন সমন্বয় সাধনকারী ইউনিটে, বিশেষ করে সিন্ধ ও বালোচিস্তানে ভ্যাকসিন বিতরণের সব পদক্ষেপও করা হয়েছে।
সিস্টেম মেনে দেশব্যাপী ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য প্রাদেশিক ও জেলাস্তরে প্রশাসন তৈরি হয়েছে। এনসিওসি-তে বসেছে ভ্যাকসিন নার্ভ সেন্টার। পাকিস্তানও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রথম ধাপে করোনাভাইরাস অতিমারী মোকাবিলায় সামনের সারিতে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্ক লোকজনকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
এদিকে পাকিস্তানের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা মন্ত্রকের পরিসংখ্যান, দেশে কোভিড -১৯ সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫,৪৩,২১৪টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ২১৭৯। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৬৫ জন। সব মিলিয়ে পাকিস্তানে কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত মানুষের সংখ্যা ১১,৬২৩ জন। ২,১১১ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। এপর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪,৯৮,১৫২ জন। গত একদিনে টেস্ট হয়েছে ৪১,৪৩৫টি। তাতে দেখা হয়েছে, পজিটিভ হওয়ার হার ৫.২৫ শতাংশ।