বেজিং: চিনে ফের করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। নতুন করে ৬ জন আক্রান্ত হওয়ায় আজ থেকে বেজিংয়ের একাংশে লকডাউন জারি করা হল। দক্ষিণ বেজিংয়ের ফেঙ্গতাই জেলার ১১টি জনবসতি অঞ্চলের বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে না বেরনোর নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। একটি মাংসের বাজার থেকে সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি আধিকারিকরা।

বেজিং প্রশাসন সূত্রে খবর, দু’মাস পরে বৃহস্পতিবার প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়। আক্রান্ত ব্যক্তি গত সপ্তাহে জিনফাদি মাংসের বাজারে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে তিনি শহরের বাইরে কোথাও যাননি।

গত বছর উহানে করোনা সংক্রমণের খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই কঠোর লকডাউন জারি করা হয়। ফলে নিয়ন্ত্রণে আসে সংক্রমণ। এরপর ধীরে ধীরে শিথিল করা হয় লকডাউন। বিদেশ থেকে ফিরেও এসেছেন বহু মানুষ। কিন্তু এরপর ফের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আজ যে ৬ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তিনজন জিনফাদি মাংসের বাজারে কর্মী, একজন ক্রেতা এবং দু’জন চিনের মাংস গবেষণা কেন্দ্রের কর্মী। বাজারটি বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া ফেঙ্গতাই জেলারই জিঙ্গশেন সামুদ্রিক প্রাণীর বাজারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই বাজারদু’টিতে কয়েকশো পুলিশকর্মী ও আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সামুদ্রিক প্রাণীর বাজারের কর্মীরা বহু পণ্য অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নতুন করে সংক্রমণ রোখার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়েছে। ৯টি স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেজিং শহরজুড়ে প্রাইমারি স্কুল খোলার উদ্যোগ নেওয়া হলেও, তা আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। সব ধরনের খেলা এবং রেস্তোরাঁয় দল বেঁধে খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে ভ্রমণও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জিনফাদি মাংসের বাজারের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, আমদানি করা স্যামন মাছ থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। গোটা বেজিংজুড়ে মাছ, মাংস, ডিমের উপর নজরদারি শুরু হয়েছে। বেজিংয়ের কয়েকটি রেস্তোরাঁয় আজ থেকে আর স্যামন পরিবেশন করা হচ্ছে না। ৩০ মে-র পর থেকে যাঁরা জিনফাদি বাজারে গিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।