নিউ ইয়র্ক: করোনার প্রতিষেধক কে সবার প্রথম বাজার আনবে? কোন দেশের টিকা দখল করবে বিশ্বের সিংহভাগ বাজার? তা নিয়ে চলছে প্রতিযোগিতা। এরই মধ্যে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজার জানাল, করোনা প্রতিষেধক কার্যকরী প্রমাণ হয়ে গেলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছ থেকে জরুরি ভিত্তিতে তা ব্যবহারের জন্য অনুমোদন চাইবে। সামনে মাসের শেষদিকেই তা হয়ে যেতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। এরপর তারা লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবে বলে জানিয়েছে।


জার্মানির সংস্থা বায়োএনটেকের সঙ্গে যৌথ ভাবে করোনা প্রতিষেধক তৈরি করছে ফাইজার। সেই টিকা এখন তৃতীয় তথা শেষ ধাপে রয়েছে। ফাইজারের চিফ এগজিকিউটিভ অ্যালবার্ট বাউরলা জানিয়েছেন, ২৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর উপর তৃতীয় ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেককে আবার বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এই তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা কতটা সফল হল তা অক্টোবরের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তিনি। ফলে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফল যদি ইতিবাচক হয় তা হলে একটুও দেরি না করে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবে ফাইজার।

আমেরিকার ফুড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তরফেও ইঙ্গিত মিলেছে, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ পুরোপুরি শেষ না হলেও, এই ধরনের আবেদন এলে তা বিবেচনা করে দেখা হবে।

বিজ্ঞানী ও পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ জানাচ্ছেন তড়িঘড়ি টিকা আনতে গিয়ে যেন টিকার সুরক্ষা, কার্যকারিতার সঙ্গে যেন আপস করা না হয়। রাশিয়া টিকা তৈরিতে প্রথম হতে চলেছে বলে জানিয়েছিলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এমনকী, এ মাসেই বাণিজ্যিক উৎপাদনের পথে হাঁটতে চলেছে পুতিন সরকার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও চাইছেন আমেরিকায় নির্বাচনের আগে করোনা-টিকা নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করতে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের করোনা বিষয়ক চিকিৎসক দলের প্রধান অ্যান্টনি ফসি জানিয়েছিলেন, আগামী বছরের গোড়ার আগে করোনার নিরাপদ, কার্যকরী প্রতিষেধক আনা সম্ভব নয়। জরুরি ভিত্তিতে প্রতিষেধক যদি প্রয়োগ করতেই হয়, তা শুধু স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িতদের দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।