নয়াদিল্লি: পাকিস্তানে নরেন্দ্র মোদির পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল! প্রতিবেশী দেশের সিন্ধ প্রদেশে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর পোস্টার নিয়ে মিছিল করলেন সিন্ধকে পৃথক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবির সমর্থকরা। তাঁরা শীর্ষনেতা জি এম সঈদের জন্মবার্ষিকীতে রাস্তায় নেমে আলাদা রাষ্ট্রের দাবি করেন। সঈদ ছিলেন পৃথক সিন্ধুদেশের উদ্গাতা।
মোদি ছাড়াও প্রতিবাদীদের হাতে ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেন, আফগানিস্তান প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রঁ, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল, রাষ্ট্রপুঞ্জের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুয়েতেরেস, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তাদের হাতে পোস্টার লেখা ছিল সিন্ধ পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা চায়। সিন্ধুদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পোস্টারও চোখে পড়ে। প্রতিবাদ সমাবেশটি আয়োজিত হয় সিন্ধের জামসোরো জেলার সান এলাকায়। জি এম সৈয়দের জন্মস্থান সান। রবিবারের সমাবেশের আয়োজক ছিল জিয়ে সিন্ধ মুত্তাহিদা মাহাজ। বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের হস্তক্ষেপ চায় বিক্ষোভকারীরা। তাদের দাবি, সিন্ধ হল সিন্ধু সভ্যতা, বৈদিক সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র। ব্রিটিশরা অবৈধ ভাবে তাকে দখল করে। ১৯৪৭ এ ব্রিটিশরা পাকিস্তানের ‘নোংরা’ হাতে সিন্ধকে তুলে দেয়।
গতকালই ছিল সঈদের ১১৭তম জন্মবার্ষিকী। আধুনিক সিন্ধি জাতীয়তাবাদের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম তিনি। সঈদ ভিন্ন ভাবধারা, আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গাঁধী বিশেষ ভাবে তাঁকে প্রভাবিত করেছিলেন। পাকিস্তান গঠনের পর তিনিই হলেন প্রথম রাজনৈতিক বন্দি, প্রায় ৩০ বছর পাকিস্তানের কারাগারে কাটিয়েছিলেন তিনি।


১৯৪৭ এ দেশ বিভাজনের পর গঠিত পাকিস্তানে একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল। সবচেয়ে বড় প্রদেশ বালুচিস্তানের সিন্ধের সিন্ধুদেশও আলাদা হওয়ার দাবিতে সামিল হয়। ভারত ছেড়ে পাকিস্তানে চলে যাওয়া লোকজন,অর্থাত্ মুজাহিরদের জন্যও আলাদা হোমল্যান্ডের দাবি ওঠে। ১৯৭১ এ পাকিস্তান ভেঙে জন্ম হয় বাংলাদেশের।
মুক্ত সিন্ধের দাবিতে একাধিক জাতীয়তাবাদী দল প্রতিবাদ, আন্দোলন চালাচ্ছে বহুদিন ধরে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে তারা সওয়াল করেছে, পাকিস্তান দখলদার, তাদের সম্পদ শোষণ করছে,মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।