সাংহাই: পাঁচ কর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেল গোটা বিমানবন্দর। স্থগিত হয়ে গেল কয়েক'শ উড়ান। ঘটনাটি ঘটেছে করোনার উৎস দেশ চিনে। সংবাদসংস্থার খবর, সাংহাই বিমানবন্দরে করোনা ধরা পড়তেই অতিরিক্ত সতর্কতা নিল চিনা প্রশাসন।
চিনের দ্বিতীয় বৃহত্তম পুডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঁচ কর্মীর কোভিড-১৯ পজিটিভ আসার পরই বিমানবন্দরের ১৭ হাজার কর্মীকে আইসোলেশনে পাঠিয়ে তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরিস্থিতির চাপে মঙ্গলবারও বাতিল হয়েছে কয়েক'শ উড়ান।
কোভিড-১৯ রোগাক্রান্ত হয়েছেন শাংহাইয়ের পুডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তিন কর্মী। এঁরা তিন জনই বিমানবন্দরের কার্গো এলাকায় কর্মরত। বাকি দুজন ওই কর্মীদের স্ত্রী।
৯ নভেম্বর তাঁদের করোনা সংক্রমণের খবর সামনে আসে। কর্মী ও তাঁর পরিবারের সদস্যেরা করোনা সংক্রমিত হওয়ার পর কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না চিনা প্রশাসন।
রবিবার বাতিল করা হয়েছিল প্রায় তিনশো উড়ান। জোরকদমে শুরু হয়েছে করোনা পরীক্ষা। বিমানবন্দরের ১৭ হাজার কর্মীকে আইসোলেশনে রেখে করোনা পরীক্ষা হয়েছে গত কয়েকদিনে।
মোট ১৭,৭১৯ জন কর্মীর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত সাতজনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ। সংক্রমণ যাতে কোনওমতেই আর না ছড়ায় সেজন্য রবিবার বাতিল করা হয়েছিল ২৭৭টি উড়ান।
পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে মঙ্গলবারও বাতিল করতে হয় বহু বিমান। পরিসংখ্যান অনুযায়ী মঙ্গলবার বাতিল হয়েছে প্রায় ৫০০ উড়ান।
বিমানবন্দরের যে সব কর্মী করোনা সংক্রমিত হয়েছেন তাঁদের নিজেদের বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার ছাড়পত্র দেওয়া হবে নাকি কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে সে সম্পর্কে বিমানবন্দরের তরফে এখনও কিছু জানা যায়নি।
তবে পুডং বিমানবন্দরের ভাইস প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, কার্গো বিভাগে কর্মরতদের মধ্যে যাঁদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি, তাঁদেরকে চিনা প্রশাসন অনুমোদিত আপৎকালীন টিকা দেওয়া হবে।
চিনের দ্বিতীয় বৃহত্তম পুডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশ্বে মানচিত্রে গুরুত্বের নিরিখে একাদশতম স্থানে রয়েছে। সেই বিমানবন্দরের কর্মীদের করোনা সংক্রমণের জের প্রভাব ফেলেছে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রেও।