সোল: করোনা ভাইরাস যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করার জন্যই হয়তো এ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে জনসমক্ষে আসছেন না উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন। এমনই সন্দেহ দক্ষিণ কোরিয়ার মন্ত্রী কিম ইয়ন-চুলের। তিনি জানিয়েছেন, ‘এটা ঠিকই যে, কিম জং উন ক্ষমতায় আসার পর থেকে কখনও তাঁর ঠাকুর্দা কিম ইল সুংয়ের জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে গরহাজির থাকেননি। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের জেরে সেই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। এ বছরের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে অন্তত দু’বার ২০ দিন প্রকাশ্যে দেখা যায়নি তাঁকে। বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সেটা অস্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে না।’

এ মাসের ১১ তারিখ থেকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না উত্তর কোরিয়ার একনায়ককে। ১৫ তারিখ তাঁর ঠাকুর্দার জন্মদিবস ছিল। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি কিম জং উনকে। ফলে তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে বিশ্বজুড়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তাঁরা উত্তর কোরিয়ায় কোনওরকম অস্বাভাবিক কার্যকলাপ দেখতে পাননি। ফলে কিম জং উন অসুস্থ, এমন খবরে বিশ্বাস না করাই ভাল।

উত্তর কোরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সেদেশে একজনও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। তবে সংক্রমণ রোখার জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে খবর রটে গিয়েছে, কিম জং উনের হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাঁর চিকিৎসা করার জন্য চিন থেকে একদল চিকিৎসক উত্তর কোরিয়ায় গিয়েছেন বলেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে এই দু’টি খবরই ভুয়ো বলে দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার মন্ত্রীর।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাঁর কাছে পাকা খবর আছে, কিম জং উন সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি ট্রাম্প। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেও জানিয়েছেন, তিনি কিং জং উনের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খবর পেয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে কড়া নজর রাখছেন।