বেজিং ও টোকিও: চিনে নোভেল করোনাভাইরাসে নতুন করে মৃত্যু হল ১৪২ জনের। ফলে মৃত্যু বেড়ে হল ১,৬৬৫। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হুবেই প্রদেশে। সরকারিভাবে আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৬৮,৫০০।  চিনের স্বাস্থ্য কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সারা দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২,০০৯ জন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত যথারীতি হুবেই প্রদেশে। নতুন করে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৩৯ জনই হুবেইয়ে ছিলেন। মৃত্যুমিছিল রুখতে চিনকে সাহায্য করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যদিও চিনের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ৯,৪১৯ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।


করোনাভাইরাসের ফলে শুধু সাধারণ মানুষই নয়, চিকিৎসকদেরও বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত অন্তত ১,৭০০ স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা প্রত্যেকেই করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে গিয়ে নিজেরাই অসুস্থ হয়ে পড়েন।  আজ চিনে এসেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা চিনের কয়েকটি করোনাভাইরাস-দুর্গত অঞ্চলে যাবেন। করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকের পরীক্ষা চলছে। যতদিন না ওষুধ আবিষ্কার হচ্ছে, ততদিন সাধারণ মানুষকে হাত ও মুখ পরিষ্কার করা এবং মাস্ক পরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

অন্যদিকে, জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে আটকে থাকা জাহাজ ডায়মন্ড প্রিন্সেস ক্রুজে নতুন করে ৭০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাৎসুনোবো কাতো। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই জাহাজটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫৫। জাপানের মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ বিকেল থেকেই মার্কিন নাগরিকদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।