টোকিও: কলকাতাবাসীর মন থেকে এখন মুছে যায়নি রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ড। কিন্তু সামনে আসা নতুন জাপানে টোকিও-কাণ্ড শুনলে সেই ঘটনাও নেহাত ফিকে হয়ে যেতে বাধ্য। মায়ের মৃতদেহ প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে ফ্রিজে লুকিয়ে রাখল মেয়ে।

মায়ের মৃত্যুর খবর সামনে আসলে ঘরছাড়া হবেন, এই আশঙ্কায় এক দশকের মতো সময় ধরে মায়ের মৃতদেহ ফ্রিজারে রেখে দিয়েছিলেন বছর আটচল্লিশের ইউমি ইয়োসিনো। টোকিও পুলিশ এক মহিলার নিরুদ্দেশ হওয়ার সন্দেহে তদন্ত শুরু করে উদ্ধার করে যে মৃতদেহ। যার পর তাঁর মেয়েকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যে গ্রেফতারির খবর সামনে উঠে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা টোকিও শহরজুড়ে।

কলকাতার রবিনসন কাণ্ডের জের শুধু রাজ্য নয়, ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশজুড়ে। বাবা ও দিদি মারা গেলেও তাঁদের মৃতদেহ আগলে রেখেছিলেন পার্থ দে। কিছুদিন পরে এলাকাবাসী সন্দেহজনক বিষয় দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারের পর পার্থ দে-কে পাঠায় মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসার জন্য। যদিও সেক্ষেত্রে সম্পত্তি আগলে রাখার কোনও বিষয় ছিল না। টোকিওতে অবশ্য ঘটেছে তেমনটাই।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, যখন ইউমি-র মা মারা যান, তখন তাঁর বয়স ছিল ৬০। তাঁর নামেই লিজ নেওয়া ছিল কায়ডোর মিউনিসিপ্যাল কমপ্লেক্সের ঘরটি। চলতি জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি ঘরের ভাড়া দিতে না পারায় তাঁকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। তারপর ফাঁকা ঘর পরিষ্কার করার সময় ফ্রিজার থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহটি।

পুলিশে খবর দেওয়া হলে তারা মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পাশাপাশি তদন্তে এগিয়ে মৃতার মেয়েকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সামনে উঠে আসে হাড় হিম করা ঘটনাক্রম।