নয়াদিল্লি: ভারতকে আক্রমণ করলে তার পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত আছে দেশ, সেনা দিবসের অনুষ্ঠানে এ কথা চাঁচাছোলা ভাবেই জানিয়ে দেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে নারাভানে বলেন, কোনওরকম হুমকি সহ্য করা হবে না। দেশের অভ্যন্তরে হোক বা বহির্দেশের আক্রমণ, সব কিছুর জবাব দিতে প্রস্তুত ভারত।


এরই মধ্যে পাকিস্তানের হাত শক্ত করতে বরাবরের মতোই এগিয়ে এসেছে দুই 'বন্ধু দেশ' চিন ও তুরস্ক। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতকে কোণঠাসা করার ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু সবসময় সব পরিস্থিতিতেই তার পাশে থেকেছে তুরস্ক ও চিন।

বিশ্বব্যাপী আর্থিক তছরুপ ও সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানের ওপর নজরদারি চালানো এফএটিএফ (Financial Action Task Force)-এর ধূসর তালিকার অন্তর্ভূক্ত রয়েছে পাকিস্তান। ক্রমেই তাদের উপর বেড়ে চলেছে আর্থিক ঋণের বোঝা। এরই মধ্যে অস্ত্র সাহায্য নিয়ে পায়ের নীচের জমি শক্ত করতে এগিয়ে এসেছে চিন ও তুরস্ক।

পাকিস্তানকে যুদ্ধে মদত দিতে চিন ইতিমধ্যেই উন্নত মানের দ্বিতীয় রণতরী প্রস্তুত করেছে। তুরস্কর ইস্তানবুলে পাকিস্তানের জন্য MILGEM class corvette শ্রেণির তৃতীয় যুদ্ধজাহাজের 'ওয়েল্ডিং সেরিমনি' অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি। ২০১৯ এর অক্টোবরেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ইমরান খান সরকারের পাশে থাকার কথা ঘোষণা করে তুরস্ক সরকার। পাক নৌবাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধজাহাজ তৈরি করছে তারা। তুরস্কর তৈরি রণতরী হাতে পেলে পাকিস্তান লাভবান হবে নিঃসন্দেহে।

চিন পাকিস্তানের জন্য যে চারটি Type-054 ফ্রিগেট শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুত করছে, গত অগাস্টে সেগুলির প্রথমটি তুলে দেওয়া হয়েছে। এই দুই দেশের সাহায্য পেলে কোণঠাসা অবস্থাতেও পাকিস্তান প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে হালে পানি পেতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে ভারতের সেনাপ্রধান বলেন, গত বছর থেকে দফায় দফায় হুমকি দিচ্ছে চিন এবং পাকিস্তান। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদকে দেশের মূল কর্মকাণ্ড বানিয়ে তুলেছে পাকিস্তান। নারাভানে বলেন, আমরা সমস্যার সমাধান চাই। আমরা পূর্ব লাদাখে আমাদের অবস্থান বজায় রাখব। আশা করি চিনের সঙ্গে সমঝোতায় আসা যাবে। পাকিস্তান এবং চিনের আক্রমণ প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, পাক মদতপুষ্ট কোনও সন্ত্রাসবাদকে বরদাস্ত করা হবে না। পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে চিন। পাকিস্তান এবং চিন একসঙ্গে আক্রমণ করছে।