ওয়াশিংটন: ১ বছরের কিছু আগে প্রথমবার ইমপিচমেন্ট হয় তাঁর। এবার ক্ষমতা যাওয়ার পথে ফের দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইমপিচমেন্টের মুখে পড়তে চলেছেন। তাঁর ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে পাশ হয়েছে ২৩২-১৯৭ ভোটে। ১০ জন রিপাবলিকানও প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

মার্কিন আইন প্রণেতাদের অভিযোগ, অল্পদিন আগে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ট্রাম্প সমর্থকদের যে তাণ্ডব হয়, যাতে ৫ জন মারা গিয়েছেন, তার পিছনে ট্রাম্পের উসকানি রয়েছে। তাই তাঁকে ইমপিচমেন্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। স্থানীয় সময় গতকাল এই প্রস্তাবে বলা হয়, ৬ জানুয়ারির ঘটনায় ট্রাম্প একাধিকবার প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেছেন, তিনিই সমর্থকদের উসকানি দিয়েছিলেন ইউএস ক্যাপিটলে হামলা চালাতে। ওই হামলার ফলে ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের গণনা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়, পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে মারা যান ৫ জন, এঁদের মধ্যে ইউএস ক্যাপিটল পুলিশের এক অফিসারও রয়েছেন।

যে ৪ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনী কংগ্রেসে রয়েছেন, তাঁরাও ভোট দিয়েছেন ইমপিচমেন্টের পক্ষে। এই ৪ জন হলেন অ্যামি বেরা, আর ও খান্না, রাজা কৃষ্ণমূর্তি ও প্রমীলা জয়পাল। হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি প্রকাশ্যে বলেছেন, যে দেশকে আমরা ভালবাসি তার পক্ষে ট্রাম্প সুস্পষ্টভাবে বিপজ্জনক।

এবার স্পিকার ঠিক করবেন, কত তাড়াতাড়ি ইমপিচমেন্ট আর্টিকল সেনেটে ট্রায়ালের জন্য পাঠানো হবে। ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার এ ব্যাপারে সেনেটে এমার্জেন্সি সেশনের ডাক দেন, যাতে ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের অফিস ছাড়ার আগেই তাঁর বিচার শুরুহয়। কিন্তু সেনেটের জিওপি নেতা মিচ ম্যাককোনেল তা খারিজ করে দিয়েছেন।

ঠিক এভাবে ২০১৯-এও ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট হয়, আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তাঁর তৎকালীন প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়ার জন্য তিনি ইউক্রেনের নেতাকে চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। এ জন্য ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত মার্কিন কংগ্রেস তাঁর ইমপিচমেন্ট করে। যদিও রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সেনেট গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়।

১৯ তারিখ স্থগিত হয়ে যাচ্ছে মার্কিন সেনেট। এর পর দিন আমেরিকার ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন জো বাইডেন।