ওয়াশিংটন: উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জঙ উনের স্বাস্থ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এরইমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিম জঙের সুস্বাস্থ্যের কামনা করলেন। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলেছেন, আমি কিম জঙের সুস্বাস্থ্য কামনা করি। আমাদের তার সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সংবাদমাধ্যমে যেমন তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ বলে যে সমস্ত খবর প্রকাশিত হচ্ছে, সেগুলি ঠিক হলে, তা খুবই উদ্বেগজনক ব্যাপার।
কিম জঙের শারীরিক অবস্থা নিয়ে তাঁর কাছে কোনও তথ্য থাকার কথা সরাসরি অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতেই তিনি কিম জঙের সুস্বাস্থ্য কামনা করছেন বলে ট্রাম্প জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, খবর ঠিক না ভুল, তা আমি জানি না।
উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল প্রয়াত দাদু তথা উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুঙের ১০৮ তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক ক্যালেন্ডারে এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুঙের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি কিম জঙকে। তারপর থেকেই তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে কিম জঙের শারীরিক অবস্থা কেমন, তা নিয়ে কৌতুহল দানা বেঁধেছে।
যদিও প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার শাসকের অসুস্থতার কোনও ইঙ্গিতই নেই। এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছিল যে, একটি অস্ত্রোপচারের পর কিম জঙের শারীরিক অবস্থা খুবই গুরুতর। যদিও সিওলে দক্ষিণ কোরিয়ার এক আধিকারিক মঙ্গলবার এই খবর অস্বীকার করেন। তিনি জানান, এ ব্যাপারে তাঁদের কাছে কোনও খবর নেই।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এক অজ্ঞাতপরিচয় মার্কিন সরকারের আধিকারিককে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছিল, অস্ত্রোপচারের পর কিম জঙের শারীরিক অবস্থা গুরুতর বলে যে গোয়েন্দা রিপোর্ট এসেছে, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। এর বেশি কোনও তথ্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। উত্তর কোরিয়ার শাসককে সম্প্রতি বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছে, এই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে অন্য এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন যে, কিম জঙের স্বাস্থ্য সম্পর্কে কোনও খবর পাওয়া যায়নি।


২০১১-র শেষদিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবা কিম জঙ-ইলের মৃত্যুর পর কিম জঙ উন উত্তর কোরিয়ার প্রধান হয়েছিলেন।