ওয়াশিংটন: বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্য়েই নতুন আশঙ্কার কথা শোনালেন পুষ্টিবিজ্ঞানী ড. মাইকেল গ্রেগার। তাঁর মতে, পোলট্রি থেকে সংক্রমিত ভাইরাস এইচ৫এন১ যদি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে সেটি করোনার চেয়ে অনেক ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে।


বিভিন্ন প্রাণীর শরীর থেকে কীভাবে মানুষের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে, সেটা নিয়ে গবেষণা করেছেন গ্রেগার। এ বিষয়ে তিনি একটি লেখায় জানিয়েছেন, ‘পোলট্রি ফার্মের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে এইচ৫এন১-এর মতো রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই রোগে মৃত্যুর হার ৫০ শতাংশ। অনেক মানুষ যদি এই রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে করোনার চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। খামারগুলিতে কয়েক হাজার পশুকে যেভাবে গাদাগাদি করে রাখা হয়, সেক্ষেত্রে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেশি। এখন বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে আরও বেশি মানুষ বিপদে পড়তে পারেন।’

গ্রেগার আরও জানিয়েছেন, ‘সারা বিশ্বে প্যাঙ্গোলিনের সংখ্যা দ্রুত কমে আসছে। আমরা প্রতি বছর ১০০ কোটিরও বেশি শূকর পালন ও হত্যা করছি। শুধু চিনেই সারা বিশ্বের অর্ধেক শূকরের জন্ম দেওয়া হচ্ছে এবং মেরে ফেলা হচ্ছে। ফলে আমার আশঙ্কা হচ্ছে, পরবর্তী অতিমারীর জন্য গৃহপালিত পশু-পাখিরা দায়ী হবে না, দায়ী থাকবে বন্য জন্তুরা। ইতিমধ্যেই হয়তো সেটা হয়েছে।’

শুধু শূকরই নয়, গ্রেগারের আশঙ্কা, ব্রয়লার মুরগির মাধ্যমেও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। তিনি অনেক প্রাণী-বাহিত রোগের উদাহরণ দিয়েছেন। তাঁর মতে, করোনার মতো অতিমারী ঠেকানোর জন্য মুরগি, শূকর এবং অন্যান্য পশু-পাখি পালনের ধরন বদলাতে হবে।