নিউ ইয়র্ক: আর কয়েকমাস পরেই মঙ্গল গ্রহে মহাকাশযান পাঠাচ্ছে নাসা। তার ঠিক আগেই মঙ্গলের মাটিতে ২০ ফুট গভীর রহস্যজনক গর্তের সন্ধান পাওয়া গেল। এই গর্ত নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে কৌতূহল। নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলে প্রাণের কোনওরকম অস্তিত্ব পাওয়া যায় কি না, তার সন্ধান চালানো হবে।

নাসার পক্ষ থেকে ব্লগ পোস্টে মহাকাশ বিজ্ঞানী রবার্ট নেমিরফ ও জেরি বনেল লিখেছেন, ‘মঙ্গলগ্রহের পাভোনিস মনস আগ্নেয়গিরিতে এই রহস্যজনক গর্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ২০১১ সালে প্রথমবার এই গর্তের সন্ধান পাওয়া যায়। অর্বিটার ওই গর্তের ছবি তোলে। সেই ছবি খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে, গর্তটি প্রায় ৩৫ মিটার চওড়া এবং ২০ ফুট গভীর। অনুমান করা হচ্ছে, গর্তটি দেড় কোটি বছরের পুরনো। এই গর্ত নিয়ে অনেক আলোচনা-জল্পনা চলছে। এখনও গর্তটির বিষয়ে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। তবে এই গর্তটি পরীক্ষা করে মঙ্গলে প্রাণের হদিশ পাওয়া যেতে পারে। সেটাই গবেষকদের প্রধান লক্ষ্য। এই কারণেই গর্তটি নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।’

এ বছরের ১৭ জুলাই মঙ্গলের উদ্দেশে রওনা হবে নাসার রোভার। ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের মাটিতে মহাকাশযানটির অবতরণের কথা। এর আগে মঙ্গলে অপরচুনিটি রোভার ও কিউরিওসিটি রোভার পাঠিয়েছিল নাসা। এর মধ্যে কিউরিওসিটি রোভার এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সেটির সঙ্গে যোগ দেবে মার্স ২০২০ রোভার। এই রোভারের সঙ্গে থাকবে হেলিকপ্টার, যা অন্য একটি গ্রহে উড়ে যাবে। এই পরীক্ষা সফল হলে ২০৩০ সালে মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার।