হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা স্বচ্ছ থাকার জন্যই নীতিতে কিছু বদল এনেছি। বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়টি মানুষের সামনে আরও ভালভাবে তুলে ধরার জন্যই নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা গত অক্টোবরেই এ বিষয়ে জানিয়েছিলাম। এর ফলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাণিজ্য সংক্রান্ত বার্তা আদানপ্রদান করা যাবে। আমাদের এই আপডেটের বিষয়ে স্পষ্ট থাকা জরুরি। বাণিজ্য সংক্রান্ত বার্তালাপের জন্যই আমরা আপডেট করেছি। ফেসবুকের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য আদানপ্রদানের বিষয়ে নীতিতে কোনও বদল হয়নি। সারা বিশ্বের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যে ব্যক্তিগত কথোপকথন চালাচ্ছেন, তার উপর আমাদের এই নতুন নীতির কোনও প্রভাব পড়বে না। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সারা বিশ্বে কীভাবে বাণিজ্যিক কার্যকলাপ চলে, সে বিষয়ে হয়তো অনেকেরই ধারণা নেই। সারা বিশ্বের ১৭ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী প্রতিদিন বাণিজ্য বিষয়ক কথাবার্তা চালান।’
হোয়াটসঅ্যাপের নীতি বদল নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সারা বিশ্বে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক চলছে। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে হোয়াটটসঅ্যাপের নতুন নীতি। অনেকেরই আশঙ্কা, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের গোপনীয় তথ্য ফেসবুকের কাছে ফাঁস হয়ে যাবে। এই আশঙ্কা থেকেই অনেকে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভাবছেন। সেই কারণেই হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান এ বিষয়ে নিজের বক্তব্য জানালেন। তাঁর দাবি, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা বজায় থাকবে। তবে এরপরেও অনেকেই আশ্বস্ত হতে পারছেন না।