ওয়াশিংটন : এবার বন্ধ হয়ে গেল ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউটিউব চ্যানেল। গুগল পরিচালিত ইউটিউব তাদের বার্তায় জানিয়েছে, চ্যানেলের প্রাইভেসি পলিসি মেনে না চলায় নূন্যতম সাত দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের ইউটিউব চ্যানেল। সম্প্রতি চ্যানেলে আপলোড হওয়া বিষয় থেকে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, সে জন্যই এই পদক্ষেপ। পাশাপাশি অনির্দিষ্টকালের জন্য এই চ্যানেলের কোনও কনটেন্টে কমেন্ট করার বিষয়েও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে।


গত সপ্তাহে মার্কিন মুলুকের সংসদ ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকরা তাণ্ডব চালান। তাদেরকে তাতিয়ে তোলার অভিযোগও ওঠে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। যে জন্য তাঁকে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দিতে শুরু করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ট্রাম্পকে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রাখলেও ট্রাম্পকে চিরতরে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দিয়েছে টুইটার।

এমনিতেই টুইটারের সঙ্গে আগেও ট্রাম্পের বিবাদ লেগেছিল একাধিকবার। মিথ্যে বা ভুল তথ্যের তকমা দিয়ে তাঁর একাধিক টুইট ফ্ল্যাগ করে দিয়েছিল সংস্থা। এবার তারা শুধু চরমপথই নেয়নি, ট্রাম্পের তিন-তিনটি টুইটার অ্যাকাউন্টকে চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছে। এবার হিংসা ছড়ানোর আশঙ্কা থেকে সেই পথে হাঁটল ইউটিউব।



প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনে পরাজিত ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদকাল সরকারিভাবে আর সপ্তাহখানেক। ২১ জানুয়ারি ডেমেক্র্যাট নেতা জো বাইডেনের আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা। কিন্তু ভোটে পরাজিত হলেও প্রথমে দীর্ঘদিন নিজের হার মানতে চাননি ট্রাম্প। শেষমেষ সেটা মেনে নিলেও বিভিন্ন উপদ্রব চালাচ্ছে তাঁর সমর্থকরা। মার্কিন মুলুকের গোয়ান্দাসংস্থা এফবিআই-এর আশঙ্কা বাইডেনের প্রেসিডেন্ট পদে শপথগ্রহণের সময় দেশজুড়ে নতুন করে হিংসা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এর মাঝেই ক্যাপিটলে হওয়া তাণ্ডবের কথা মাথায় রেখে ট্রাম্পের দিন সাতেক পদে থাকা বাকি থাকলেও তাঁর বিরুদ্ধে ফের ইমপিচমেন্টের পদক্ষেপ এনেছেন ডেমোক্র্যাটরা। তবে সেটা যদিও শেষ পর্যন্ত হয়তো খাতায় কলমে বাস্তবায়িত হচ্ছে না এবার। কারণ, আমেরিকার বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা ট্রাম্পের সহকারী মাইক পেন্স ইমপিচমেন্টের পদক্ষেপ বাতিল করে দিয়েছেন। কিছুদিন আগে পেন্সই অবশ্য ট্রাম্পের নিষেধ উড়িয়ে মার্কিন কংগ্রেসে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের জয়ের বিষয়ে সিলমোহর দেন। যেদিনই ট্রাম্প সমর্থকরা হানা দিয়েছিল ক্যাপিটালে।