চণ্ডীগড়: উত্তেজনার আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। এ বার পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরাল হচ্ছে পঞ্জাবে (Punjab News)। সেখানে বিচ্ছিন্নতাকামী, খালিস্তানপন্থী নেতা তথা স্বঘোষিত শিখ ধর্মগুরু অমৃতপাল সিংহকে (Amritpal Singh) গ্রেফতারির প্রস্তুতি চলছে। শনিবার অমৃতপালের ছয় সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ নামিয়ে মোগরা জেলা মুড়ে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তায়। রবিবার দুপুর পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে গোটা পঞ্জাবে। পরিস্থিতি বেগতিক হতে পারে বুঝেই এমন সিদ্ধান্ত।
অমৃতপাল এবং তাঁর সহযোগীদের ধাওয়া করে জলন্ধরের শাহকোট তেহসিলের মেহতপুরে এনে ফেলেছে পুলিশ
সূত্রের খবর, ঢের আগেই অমৃতপালকে গ্রেফতার করা হতো। কিন্তু জি-২০ সম্মেলন শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল রাজ্য সরকার। জানা যাচ্ছে, রাজ্যের সাত জেলার পুলিশ অমৃতপাল এবং তাঁর সহযোগীদের ধাওয়া করে জলন্ধরের শাহকোট তেহসিলের মেহতপুরে এনে ফেলেছে। গোটা গ্রাম ঘিরে ফেলা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শাহকোটমুখী সব রাস্তা।
'ওয়ারিস পঞ্জাব দে' নামের একটি চরমপন্থী সংগঠনও চালান অমৃতপাল। অভিনেতা তথা সমাজকর্মী দীপ সিধু ওি সংগঠনের সূচনা করেন। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দীপের। তার পর থেকে অমৃতপালের হাতেই সংগঠনের রাশ। বিগত কিছু দিন ধরে তিনি পঞ্জাবকে তাতিয়ে তুলছিলেন বলে অভিযোগ। তাতেই এ বার তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: ChatGPT করতে পারে এই ২০ টি কাজ, আপনার চাকরি থাকবে কি ?
পঞ্জাব পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই রাজ্যবাসীকে সতর্ক করা হয়েছ। রাজ্যে শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় রাখার আর্জি জানানো হয়েছে ট্যুইট করে। অযথা আতঙ্কিত হওয়া, ঘৃণা ভাষণ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। ভুয়ো খবর থেকে যাতে অশান্তি না ছড়ায়, তার জন্যই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত।
অশান্তি আঁচ করে অমৃতপালের গ্রাম, অমৃতসরের জাল্লুপুর খৈরাতেও প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নামানো হয়েছে আধা সেনাও। গোটা গ্রাম বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এমনিতে সশস্ত্র অনুগামীদের নিরাপত্তায় পরিবেষ্টিত হয়েই বাইরে বেরোন অমৃতপাল। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
অমৃতপালের গ্রাম, অমৃতসরের জাল্লুপুর খৈরাতেও প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবের পরিস্থিতি উত্তাল হয়েছিল। অমৃতপালের সহযোগী, অপহরণকাণ্ডে অভিযুক্ত লভপ্রীত সিংহে গ্রেফতারিতে প্রতিবাদ, আন্দোলন শুরু হয়। তাতেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অমৃতপাল। তাঁর অনুগামীরা তলোয়ার, বন্দুক নিয়ে রাস্তায় নামেন। ব্যারিকেড ভেঙে ঞ্জলায় একটি থানাতেও ঢুকে পড়েন তাঁরা। লক্ষপ্রীতের মুক্তির আশ্বাস আদায় করেন পুলিশের কাছ থেকে। তাতে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। ছয় পুলিশকর্মী, পুলিশের একজন সুপারিন্টেন্ডেন্টও আহত হন।