(Source: Poll of Polls)
Iran-Israel War: আমেরিকার হামলায় পরমাণু কেন্দ্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি! মেনে নিল ইরান, ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে, বলছে CIA
US-Iran Conflict: আমেরিকার হামলায় পরমাণু গবেষণাকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মেনে নিয়েছেন ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘেই।

নয়াদিল্লি: আমেরিকার হামলায় দেশের ক্ষেপণাস্ত্র পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মেনে নিল ইরান। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাখ্যা না করলেও, ইরান জানিয়েছে, আমেরিকার হামলায় তাদের পরমাণু গবেষণাকেন্দ্রের ‘মারাত্মক’ ক্ষতি হয়েছে। আমেরিকার হামলায় সামান্য ক্ষতি হয়েছে বলে গত কয়েক দিন ধরে দাবি করছিল ইরান। এমনকি আমেরিকার গোয়েন্দা রিপোর্টেও তেমনই ইঙ্গিত মেলে বলে জানা যায়। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার গোড়া থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিল। ইরানের পরমাণু গবেষণাকেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে লাগাতার দাবি করছিল তারা। (Iran-Israel War)
আমেরিকার হামলায় পরমাণু গবেষণাকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মেনে নিয়েছেন ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘেই। বুধবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন তিনি। বলেন, “হ্যাঁ, আমাদের পরমাণু পরিকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু সেগুলি বার বার করে আমেরিকা এবং ইজরায়েলি আক্রমণকারীদের হামলার শিকার হয়েছে।” কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা যদিও খোলসা করেননি ইসমাইল। (US-Iran Conflict
ইসমাইল জানিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বোঝার চেষ্টা চলছে। দেশের পরমাণু শক্তি সংগঠন প্রযুক্তি নির্ভর পথে খতিয়ে দেখছেন সবকিছু। অন্য দিকে, ট্রাম্প বুধবারও জানান, ইরানের পরমাণু শক্তি পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমেরিকার বাহিনীর ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি।
In a rare official acknowledgment, Iranian Foreign Ministry Spokesman Esmail Baghaei confirmed today that Iran’s nuclear facilities sustained “significant damage” as a result of recent U.S. and Israeli strikes.
— ME24 - Middle East 24 (@MiddleEast_24) June 25, 2025
This admission marks the first public recognition by Tehran of the… pic.twitter.com/9TGZfLs9zF
ইরান বনাম ইজরায়েল সংঘাতে সম্প্রতি নিজেকে জড়িয়ে নেয় আমেরিকা। মাটির নীচে অবস্থিত ইরানের তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র গবেষণাকেন্দ্রে শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করে তারা। কিন্তু আমেরিকার ওই হামলার প্রভাব নিয়ে গোড়া থেকেই বিতর্ক। ইরান দাবি করে, হামলা হতে পারে আঁচ করে আগেই খালি করে দেওয়া হয়েছিল তিনটি পরমাণু গবেষণাকেন্দ্র। ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কয়েক মাসের জন্য পিছিয়ে গিয়েছে মাত্র, আমেরিকার গোয়েন্দা রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে জানায় CNN-ও।
এর ফলে ট্রাম্পের দাবি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এর পাল্টা ট্রাম্প সরকার সমালোচকদের একহাত নেয়। গোয়েন্দাদের গোপন রিপোর্ট ফাঁস হয়ে যাচ্ছে কী করে, প্রশ্ন তোলে তারা। শুধু তাই নয়, আমেরিকার অভিযান নিয়ে এমন প্রশ্ন তোলা ‘দেশদ্রোহ’ বলেও দাবি করা হয়। সেই আবহেই ইরানের তরফে ক্ষয়ক্ষতির কথা মেনে নেওয়া হল।
আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা CIA-র ডিরেক্টর জন ব়্যাটক্লিফও এ নিয়ে মুখ খোলেন বুধবার। জানান, আমেরিকার হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে CIA-র কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ইরানের, তাতে পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রগুলিকে ফের দাঁড় করাতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগবে তাদের।























