নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র ইন-চার্জ ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্বভার নিলেন বর্ষীয়ান ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস অফিসার রাহুল নবীন। সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, বিদায়ী ডিরেক্টর সঞ্জয় কুমার মিশ্রের জায়গায় আপাতত, কার্যকরী ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন রাহুল নবীন। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বা নতুন ডিরেক্টর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত, তাঁর উপরই এই দায়িত্বভার থাকবে, এও জানানো হয়েছে সরকারি নির্দেশে। এত দিন ইডি-র স্পেশ্যাল ডিরেক্টরের পদে কাজ করছিলেন ১৯৯৩ ব্যাচের এই অফিসার।
প্রেক্ষাপট...
সুপ্রিম কোর্ট হালে একটি রায়ে জানায়, ১৫ সেপ্টেম্বরের পর কোনও অবস্থাতেই ইডি-র ডিরেক্টর পদে সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ বাড়ানো যাবে না। তার পর এই সরকারি বিজ্ঞপ্তি। ২০১৮ সালের অক্টোবরে কেন্দ্রীয় সংস্থাটির ডিরেক্টর পদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সঞ্জয় কুমার মিশ্র। ওই পদে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের নভেম্বরে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তিন দফায় তাঁর চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করে, যার ফলে 'সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন অ্যাক্ট'-এর সংশোধন আবশ্যক হয়ে পড়ে। তবে গত ২৭ জুলাই, শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বি আর গভাই, বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সঞ্জয় করোলের বেঞ্চ 'বৃহত্তর জনস্বার্থের জন্য' ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইডি-র ডিরেক্টর পদে তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করে। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের তরফে এর আগে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, তাতে বলা হয় ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল সঞ্জয় কুমার মিশ্রের। কিন্তু নতুন রায়ের ফলে তাঁর কার্যকাল ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেড়ে যায়। যদিও একই সঙ্গে বলে দেওয়া হয়েছিল, এর পর সরকারের তরফে তাঁর ইডি ডিরেক্টরের পদে মেয়াদবৃদ্ধির কোনও আবেদন গ্রাহ্য করা হবে না। অর্থাৎ আজ রাতের মধ্যেই ক্ষমতা বুঝে নিতে হবে রাহুল নবীনকে।
গত কয়েক বছর ধরেই একাধিক রাজ্যে নানা গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সক্রিয় ইডি। এহেন পরিস্থিতিতে সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদবৃদ্ধির আবেদন মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছিল, ওই কেন্দ্রীয় সংস্থায় কি দক্ষ অফিসারের অভাব রয়েছে? নাকি তারা মাত্র এক জন অফিসারের উপরই পুরোপুরি নির্ভরশীল যার ফলে পুরো সংস্থার কর্মীদের সার্বিক মনোবল ধাক্কা খাচ্ছে? আইনি জটের শেষে এবার নতুন ইন-চার্জ ডিরেক্টর পেল ইডি। বাকিটা বলবে সময়।