নয়াদিল্লি : যুদ্ধ-বিধস্ত হামাসের উপর সবথেকে বড় আক্রমণ। সন্ধি-আলোচনা স্থগিত থাকার মধ্যেই তীব্র হামলা চালাল ইজরায়েলি বাহিনী। মঙ্গলবারের এই হামলায় গাজায় অন্ততপক্ষে ৪১৩ জনের প্রাণহানির খবর সামনে এসেছে। ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতির পর এটাই সবথেকে বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
রমজান মাসের মধ্যেই এই হামলায় নিহতদের মধ্যেই অধিকাংশ শিশু, মহিলা ও বয়স্ক মানুষ রয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজা সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি। আহতের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। প্রায় ১৫০।
বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই তীব্র ছিল যে, উত্তর গাজা, গাজা শহর, দের অল-বলাহ, খান ইউনিস এবং মধ্য ও দক্ষিণ গাজা ভূকণ্ডের রাফা-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। গাজা শহরে হামলায় প্রাণহানি হয়েছে গাজা স্ট্রিপের পুলিশ প্রধান ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিষেবার প্রধান মহম্মদ আবু ওয়াতফার।
এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেল ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের তরফে লেখা হয়েছে, "রাজনৈতিক স্তর' অনুসারে গাজা উপত্যকায় হামাস সন্ত্রাসী সংগঠনের লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক হামলা চালানো হয়েছে।" এর পাশাপাশি গাজার নিকটবর্তী এলাকায় সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছে ইজরায়েল।
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিস থেকে পরে বলা হয়েছে যে, "হামাস আমাদের পণবন্দিদের মুক্তি দিতে বারবার অস্বীকার করছিল এবং এর পাশাপাশি মার্কিন রাষ্ট্রপতির দূত স্টিভ উইটকফ এবং মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সমস্ত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরে এই হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
এই পরিস্থিতিতে হামাস বলছে, নেতানিয়াহু পুনরায় যুদ্ধ শুরু করে পণবন্দিদের উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অপর একটা বিবৃতিতে হামাস নেতানিয়াহুকে "চুক্তি লঙ্ঘন এবং বাতিল করার জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী" করেছে।