চেন্নাই: বালেশ্বরের ভয়াবহ দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তারমধ্যেই ফের আরও একটি ট্রেনের বেলাইন হওয়ার খবর। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চেন্নাইয়ে বেসিন ব্রিজ ওয়ার্কশপের কাছে বেলাইন হয় জন শতাব্দী এক্সপ্রেস। ট্রেনের ২টি চাকা বেলাইন হয়ে যায়। যদিও কোনও নিহত বা আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
বিজয়ওয়াড়া থেকে আসছিল জন শতাব্দী এক্সপ্রেসটি। এমজিআর চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশনে যাত্রীদের নামিয়ে দেয় ট্রেনটি। তারপরে যাত্রীহীন খালি ট্রেনটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বেসিন ব্রিজ ইয়ার্ডে। তখনই একটি বগির সামনের দুটি চাকা বেলাইন হয়ে যায়।
যখন ঘটনাটি ঘটে তখন রাত প্রায় ১২টা। বগিও খালি ছিল বলে কোনও মানুষ বিপদে পড়েননি। তারপরে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় রেলকর্মীরা লাইনে ফেরান বেলাইন হওয়া বগিটিকে। রেলসূত্রের খবর, এই ঘটনার জন্য মেন লাইনের কোনও ট্রেনের পরিষেবায় সমস্যা তৈরি হয়নি। কেন এমন ঘটনা ঘটল তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
অন্যত্রও দুর্ঘটনা:
বৃহস্পতিবারই আরও একটি রেল-দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুরী-দুর্গ এক্সপ্রেসের (Durg-Puri Express) এসি কোচে আগুন লেগে যায়। ব্রেক প্য়াডের সংঘর্ষের জেরেই আগুন লেগেছে বলে জানিয়ছে ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে। জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা বেজে ৭ মিনিটে ওড়িশার নুয়াপাড়ায় খারিয়ার রোড স্টেশনের কাছে ডাউন দুর্গ-পুরী এক্সপ্রেসের এসি কোচের নীচে আচমকাই আগুন দেখা যায়। ধোঁয়ায় ভরে যায় বি-থ্রি কোচ। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেনের চেন টানার পর ব্রেক ঠিকমতো কাজ করেনি। ব্রেক প্য়াডের সংঘর্ষেই আগুন ছড়ায়। তবে কোচের মধ্যে আগুন ছড়ায়নি। এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। ট্রেনে আগুন লাগার জেরে তৎক্ষণাৎ ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পরে আরও একবার বিস্তারিত পর্যবেক্ষণের শেষে রাত ১১ টা নাগাদ চালু হয় পুরী-দুর্গ এক্সপ্রেস।
কয়েকদিন আগেই ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে বালেশ্বরের কাছে। ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হাজারেরও বেশি যাত্রী।এনিয়ে যখন দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে, তখন সামনে এসেছে Comptroller and Auditor General বা CAG-র চাঞ্চল্য়কর রিপোর্ট। যা থেকেই রেলে কর্মীর অভাবের বিষয়টিও সামনে আসে। বাহানাগা বাজারে ট্রেন দুর্ঘটনার পর, রেলের কর্মীদের অতিরিক্ত কাজের প্রসঙ্গ উঠে আসে। অভিযোগ ওঠে, কর্মী কম থাকায় চাপ বাড়ছে অন্যদের। এই অবস্থায় নিয়ম করে কাউন্সেলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার সমস্ত স্টেশন ম্য়ানেজার, সেকশন কন্ট্রোলার ও পয়েন্টসম্য়ানদের কাউন্সেলিং করার পরিকল্পনা।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে অনলাইন মনোনয়ন-একাধিক দাবিতে হাইকোর্টে কংগ্রেস