নয়াদিল্লি: রবিবার রাতের ঘটনার পর জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-র ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন দিল্লি পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিক এমএস রান্ধোয়া। সোমবার সকালে এই মিটিং-এ তাঁর হাতে একগুচ্ছ দাবিদাওয়ার প্রতিলিপি তুলে দেন ছাত্রছাত্রীরা। দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, আহত ছাত্রছাত্রীদের দ্রুত চিকিতসার ব্যবস্থা করা হবে। দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতারও করা হবে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। ক্যাম্পাসের ভিতরে ও বাইরে আটকে পড়া ছাত্রছাত্রী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উদ্ধার করা হবে বলেও আশ্বাস মিলেছে বলে খবর সূত্রের।





হিংসা ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। যদিও ক্যাম্পাসে হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। ফলে অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত, নাকি বহিরাগত? এখন এই নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।



ফেডারেশরন অফ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজীব রায় জানিয়েছেন, এই ঘটনায় পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে এবং তাঁদের দাবিদাওয়াগুলি খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস মিলেছে পুলিশের।
এদিকে, রবিবার ও সোমবার মধ্য-রাতে ক্যাম্পাসে ফ্ল্যাগ মার্চ করে পুলিশ। ক্যাম্পাসে আর কোনও দুষ্কৃতী আছে কি না, নিশ্চিত করতেই দিল্লি পুলিশ ক্যাম্পাস ঘুরে দেখে। যদিও তাদের উদ্দেশে গো-ব্যাক স্লোগান তোলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী।
হামলার ঘটনায় জেএনইউ-এর রেজিস্ট্রার, প্রোক্টর ও রেক্টরকে তলব করেছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।