নয়াদিল্লি : গতকালই অবসর নিয়েছেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিলেন সঞ্জীব খানা। আজ সকালেই দেশের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসাব দায়িত্ব নেন তিনি। রাষ্ট্রপতি ভবনে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু। বছর ৬৪-র বিচারপতি খান্না আগামী ৬ মাস প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্বভার সামলাবেন। পরের বছর ১৩ মে তাঁর অবসরগ্রহণ করার কথা।  


বছর ৬৪-র বিচারপতি খান্না আগামী ৬ মাস প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্বভার সামলাবেন। পরের বছর ১৩ মে তাঁর অবসরগ্রহণ করার কথা।  


সঞ্জীব খান্নার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং -সহ অন্যান্য মন্ত্রীরা। সদ্য প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ও ছিলেন অনুষ্ঠানে। 


দিল্লিতে জন্ম। মডার্ন স্কুল বারাখাম্বা রোডে পড়াশোনা করেছেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। এরপর তিনি যান স্টেন স্টিফেন্স কলেজে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ল কলেজে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। তাঁর বাবা বিচারপতি দেব রাজ খান্না ছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি। তাঁর মা সরোজ খান্না ছিলেন লেডি শ্রীরাম কলেজের অধ্যাপিকা। প্রধান বিচারপতি খান্নার কাকা হনস রাজ খান্না ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। 


২০০৫ সালে দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি হিসাবে কাজে যোগ দেওয়ার আগে আইনজীবী হিসাবে কাজ করেছেন প্রধান বিচারপতি খান্না। ২০১৯ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যান।


সুপ্রিম কোর্টের একাধিক যুগান্তকারী রায়ের অংশ থেকেছেন সঞ্জীব খান্না। সেই তালিকায় রয়েছে- Electronic Voting Machines-এর পবিত্রতা রক্ষা থেকে শুরু করে জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ ধারা বাতিল। এর পাশাপাশি তিনি সেই বেঞ্চেও ছিলেন, যে বেঞ্চ ইলেক্টোরাল বন্ড স্কিমাকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছিলেন।  


গতকালই দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে অবসর নিয়েছে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর, দু'বছর গুরুদায়িত্ব পালন করে গেছেন তিনি। তাঁর জায়গায় এবার প্রধান বিচারপতি হলেন সঞ্জীব খন্না। বিচারপতি হিসেবে অবসর নেওয়ার পর CJI চন্দ্রচূড় কী করেন, সেদিকে তাকিয়ে সকলেই। কারণ বাবার দেখানো পথে এগিয়ে প্রধান বিচারপতি হিসেবে যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি, তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশা ছিল তুঙ্গে। কেউ কেউ 'রকস্টার প্রধান বিচারপতি' বলেও উল্লেখ করেন। সবসময় প্রত্যাশা পূরণ হয় না। তাই কার্যকালের শেষ দিকে একাধিক মামলার রায় নিয়ে সমালোচনা শুনতে হয়েছে তাঁকেও।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে