কর্ণাটক: প্রেমিককে ছেড়ে বাবার পছন্দ করা পাত্রের সঙ্গে বিয়ে করতে চায়নি মেয়েটি। রাগের মাথায় মেয়ের গায়ে হাত তোলেন বাবা, এমনকী ১৮ বছরের মেয়েকে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেন তিনি। কর্ণাটকের বিদারে ঘটেছে এই মর্মবিদারি ঘটনা। বাবার হাতেই মৃত্যু হল কিশোরী মেয়ের।


জানা গিয়েছে কয়েকদিন আগেই নিজের প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল মেয়েটি, আর তার জেরেই পুলিশের কাছে মেয়েটি এবং সেই ছেলেটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে মেয়ের বাবা-মা। পুলিশ তদন্ত শুরু করলে তাদের খুঁজে পেয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং বাবা-মায়ের কাছে মেয়েকে তুলে দেয়।


এরপরে সেই মেয়েটি এবং ছেলেটি দুজনেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসে। আর তার মেয়ের এই প্রেমের সম্পর্কের কারণে, প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার কারণে সামাজিকভাবে যারপরনাই অপমানিত এবং লজ্জিত হতে হয়েছে তার বাবাকে। গত শুক্রবার মেয়েকে কাছে বসিয়ে বোঝাতে শুরু করেন তার বাবা যেন সে তার পছন্দ করা এক পাত্রের সঙ্গে বিয়ে করে নেয়। কিন্তু এই বিয়েতে মেয়েটি সম্পূর্ণ নারাজ ছিল। মেয়েটি বাবাকে জানায় যে এরকম কারো সঙ্গে সে বিয়ে করতে পারবে না। আর এই কথাতেই মাথায় রাগ চড়ে যায় বাবার। আর সেই রাগের মাথাতেই মেয়ের মাথায় লাঠির বাড়ি মেরে দেন তিনি। শুধু তাই নয়, লাঠি দিয়ে বেদম মারতে থাকেন তিনি। তারপর মেয়ের গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে ফেলেন এবং তার ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। এমনটাই জানিয়েছেন এক প্রবীণ পুলিশ আধিকারিক। যখন ঘটনাটি ঘটে মেয়েটির মা বাড়িতে ছিলেন না, বাইরে জল আনতে গিয়েছিলেন।


পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, 'সন্তপুর থানায় মেয়ের বাবার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ দিয়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে তার বাবাকে'। পুলিশ জানিয়েছে মেয়ের বাবার নাম মোতিরাম, তাঁকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।


এই বছর জানুয়ারি মাসেই মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র থেকে একটি খবর পাওয়া গিয়েছিল যে বিয়ের ঠিক চারদিন আগেই মেয়েকে খুন করে ফেলে মেয়ের বাবা-দাদা। এক্ষেত্রেও মেয়েটি নিজের পছন্দে বিয়ে করতে চেয়েছিল, আর সেই অপরাধে মেয়েকে গুলি করে মেরে ফেলে বাবা-দাদা। 


আরও পড়ুন: Job Scam: ১৫ লাখ ঘুষ দিয়ে স্ত্রীকে রেলের চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন, বিচ্ছেদ হতেই পর্দা ফাঁস করল স্বামী