ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কে কে (Krishnakumar Kunnath)। নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ বোধ করেন তিনি। এরপরই হোটেলে ফিরে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে তড়িঘড়ি সিএমআরআই-তে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কে কে-এর প্রয়াণে এবার নিউ মার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। 


আজই দেহের ময়না তদন্ত


গতকাল অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ বোধ করেন। এরপর শো শেষ করে হোটেলে ফিরে জ্ঞান হারান। ফলে অসুস্থতার কারণেই তাঁঁর মৃত্যু হয়েছে না অন্য কোনও কারণ তা খতিয়ে দেখতেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের। এছাড়া কালকের অনুষ্ঠানে কে কে-র সঙ্গে যাঁরা ছিলেন অর্থাৎ তাঁর সঙ্গী বা সহ সঙ্গীতশিল্পীদের সঙ্গে ও হোটেল কর্মীদের কথা বলবেন পুলিশ আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজন পড়লে হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হতে পারে। 


তারকাদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। ফলে কে কে-এর ক্ষেত্রেও সেইরকম কোনও ব্যাপার ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে এসএসকেএমে আজ সঙ্গীতশিল্পীর মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে। সেই রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ। আজ তাঁর পরিবার অর্থাৎ স্ত্রী ও ছেলে আসছেন কলকাতায়।


প্রয়াত কে কে


মৃত্যুর সময়ে কে কে-র বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৩ বছর। পরপর দু’দিন কলকাতায় অনুষ্ঠান করেন তিনি। গতকাল সন্ধে ৬টা ৪৫ মিনিটে নজরুল মঞ্চে, উল্টোডাঙার গুরুদাস কলেজের অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন তিনি। বেশ কয়েকটি গান গাওয়ার পরই অসুস্থ বোধ করেন কে কে। সূত্রের খবর, অনুষ্ঠানের সময় স্পট লাইট অফ করতে বলেছিলেন গায়ক। অনুষ্ঠান-বিরতিতে ব্যাক স্টেজে বিশ্রামও নেন। সেখান থেকে হোটেলে ফিরে যান তিনি। তারপর তাঁকে CMRI হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


আরও পড়ুন: KK Demise: শোক-বিস্ময়-হৃদয়বিদারক, কে কে-এর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিনোদন জগত


১৯৬৮-র ২৩ অগাস্ট, দিল্লিতে জন্ম কৃষ্ণকুমার কুন্নথের। সঙ্গীত দুনিয়ায় কেকে নামেই পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি। কিরোরি মল কলেজের প্রাক্তনী কে কে নিজের গানের জাদুতেই অসংখ্য অনুরাগীর হৃদয় জয় করেছেন। বলিউডে বহু প্লে-ব্যাক করেছেন। হিন্দি ছাড়াও বাংলা, তামিল, তেলুগু, কন্নড়, গুজরাতি, মারাঠী ভাষাতেও বহু গান গেয়েছেন। ইন্ডিয়ান পপ, রক মিউজিকে আলাদা করে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছিলেন কেকে।