কলকাতা : পেট্রোপণ্যে ভ্যাট কমানোর দাবিতে বিজেপির আন্দোলনে ধুন্ধুমার। দু’দিকে ব্যারিকেড দিয়ে বিজেপির মিছিল মুরলীধর সেন লেনেই আটকে দেয় পুলিশ। করোনাকালে মিছিলের অনুমতি নেই জানিয়ে মিছিলে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। মুরলীধর সেন লেনে দু'দিকে গার্ডরেল দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিজেপি মিছিল এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাঁধে তুলকালাম। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি-বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে ঠাসা মুরলীধর সেন লেনেই আগুন জ্বালিয়ে দেখানো হয় প্রতিবাদ। এদিকে, বিজেপি মিছিলে ধুন্ধুমারের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও পেট্রোপণ্যের দাম কমানোর প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিউটাউনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পেট্রোল-ডিজেল-গ্যাসের দাম বাড়িয়ে ৪ লক্ষ কোটি টাকা তুলেছে কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্যকে ভ্যাকসিনও দেয় না।
গত ৪ নভেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোপণ্যের ওপর থেকে এক্সাইজ ডিঢটি কমিয়েছে। যার জেরে আকাশ ছোঁয়া পেট্রোলের দামে লিটারপ্রতি ৫ টাকা ও ডিজেলের লিটারপ্রতি ১০ টাকা ছাড় মিলছে। কেন্দ্রের পথ ধরে দেশের একাধিক বিজেপিশাসিত রাজ্যও পেট্রোপণ্যের ওপর থেকে ভ্যাট কমিয়েছে। যে পথে হেঁটেছে কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাবও। যে পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্য বিজেপির দাবি, কেন্দ্রের দেওয়া ছাড়ের পর দেশের ২৩টি রাজ্য পেট্রোপণ্যের ওপর থেকে ভ্যাট কমিয়ে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার পথ খুঁজলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে পথে হাঁটেনি। যার প্রতিবাদেই এদিন গেরুয়া শিবিরের তরফে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী সহ গেরুয়া শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ সব নেতারাই হাজির ছিলেন।
কিন্তু করোনাকালে মিছিলের অনুমতি দেওয়া যাবে না বলে আগেই জানিয়েছিল পুলিশ। যার জন্য আগে থেকেই মুরলীধর সেন লেনের দু'দিকে গার্ডরেল করে আটকে দেয় পুলিশ। যদিও নির্ধরিত সূচি অনুযায়ী রাজ্য বিজেপির সদর দফতরের সামনে জড়ো হন। কিন্তু পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে তারা মিছিল করতে গেলেই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিকে মুরলীধর সেন লেনে একসঙ্গে জড়ো হওয়া গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা ইচ্ছাকৃতভাবে করোনাবিধি অমান্য করছেন বলে খোঁচা দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল।
আরও পড়ুন -'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় BJP-কে ভয় পান দেখে ভালো লাগছে', কটাক্ষ সুকান্ত মজুমদারের