সন্দীপ সরকার, কলকাতা :  কলকাতার বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্ক (Blood Bank) চষে ফেলেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বিরলতম  হওয়ায় কোথাও মেলেনি কাঙ্খিত ব্লাড গ্রুপের রক্ত। শেষমেশ, এসএসকেএমের (SSKM) রোগিণীর জন্য ভিনরাজ্য থেকে আনা হল বিরলতম বম্বে O নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত। এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে এসএসকেএমের রোগিণীর জন্য ভিনরাজ্য থেকে এসেছে বিরলতম 'বম্বে O-' গ্রুপের রক্ত। এবার দ্রুত অস্ত্রোপচারে দুরারোগ্য সমস্যা কাটবে বলেই প্রত্যাশা সব মহলে।


গত ২৫ দিন ধরে এসএসকেএমের স্ত্রী-রোগ বিভাগে ভর্তি রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের বাসিন্দা মনসুরা বিবি। রোগিণীর পরিবার সূত্রে খবর,  চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচার করতে হবে। রক্তের প্রয়োজন হবে জেনে পরীক্ষা করতেই জানা যায়, মনসুরার শরীরে বইছে অতিবিরল বম্বে O নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত। বহু খোঁজাখুজিতেও মেলেনি সেই রক্ত। এরপরই উত্তর কলকাতার এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা।  কেরলের কোচির বন্দনাম মেডিক্যাল কলেজে এই বিরলতম গ্রুপের এক ইউনিট রক্তের হদিশ পায় উদয়ের পথে সংগঠনটি। দীর্ঘ পথ পেরিয়ে বুধবার সকাল ১০টা ৫০ নাগাদ কলকাতায় এসে পৌঁছয় সেই রক্ত।  


১৯৫২ সালে, তত্কালীন বম্বেতে বিরল এই রক্তের গ্রুপের হদিশ পাওয়া যায়। সেই থেকে এই রক্তের গ্রুপ বম্বে নামে পরিচিত হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা চেয়েছিলেন, সরাসরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে রক্ত তুলে দিতে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, তাঁরা নিতে পারবেন না। ১০ মিনিট পর ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত জমা দিতে বলা হয়। কেন এই সিদ্ধান্ত, সে বিষয়ে অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। 


আরও পড়ুন- দেশে সবচেয়ে বেশিদিন ECMO সাপোর্টে রেখে সংকটজনক করোনা আক্রান্তর প্রাণরক্ষা


এদিকে, কয়েকদিন আগেই দীর্ঘদিন একমো ( ECMO) সাপোর্টে থাকার পর প্রাণ ফিরে পেয়েছিলেন এক করোনা আক্রান্ত। তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে দীর্ঘদিন রাখতে হয়েছিল একমো সাপোর্টে। দেশে কোনও রোগীকে এত দিন একমো সাপোর্টে রাখার নজির আর নেই। অবশেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন মহাশ্বেতা কল্লাত নামে ওই রোগীনী।