কলকাতা: আউটডোরে চিকিত্সকের হাজিরা নিয়ে এবার কড়া নির্দেশিকা জারি করল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। করোনা আক্রান্তদের পাশাপাশি নন কোভিড রোগীরাও আসেন এই হাসপাতালের আউটডোরে। কিন্তু মঙ্গলবার নন কোভিড বিভাগে ডায়াবেটিক রোগীদের আউটডোরে বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনও চিকিত্সক ছিলেন না বলে অভিযোগ ওঠে রোগীদের তরফে। এ নিয়ে রোগীর পরিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছে বলে খবর।
এরপরই বিষয়টি নিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তদন্তের জন্য গঠন করা হয়েছে কমিটি। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের ভাইস প্রিন্সিপাল আশিস মান্না জানাচ্ছেন, 'নন কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়ছে আউটডোরে । দেখা হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে এই অভিযোগ না ওঠে। বেলেঘাটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ইঙ্গিত, যে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হবে, তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। সূত্রের খবর, সব আউটডোরের চিকিত্সকদের সতর্ক করা হয়েছে যাতে তাঁরা সময়ে আউটডোরে বসেন।
উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগেই অভিযোগ ওঠে বেলেঘাটা আইডি-তে ওষুধ নষ্ট হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। শোনা যায় প্রায় কোটি টাকা দামের অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ পড়ে নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালে। করোনা আবহে অন্য রোগে আক্রান্তদের হাসপাতালে আসার প্রবণতা কমায় এই বিপত্তি বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মেয়াদ ফুরোনোর আগে মজুত ওষুধ অন্য হাসপাতালে কাজে লাগানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।
সব ধরনের সংক্রামক রোগ ছাড়াও যে কোনও পশুর কামড়ের চিকিত্সাও হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। কিন্তু রাজ্যে করোনার ঢেউ আছড়ে পড়ার সময় থেকে এই হাসপাতালে কোভিড রোগীদের ভিড় বেড়েছে।
২০২০-র শুরুতেই বেলেঘাটা আইডি-কে করোনা চিকিত্সায় নোডাল হাসপাতাল ঘোষণা করে স্বাস্থ্য দফতর। ধাপে ধাপে বাড়ানো হয় কোভিড বেডের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে কমেছে নন-কোভিড বেড। ফলে বেলেঘাটা আইডি-তে অন্য রোগে আক্রান্তদের ভিড় কমতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে অন্য রোগের ওষুধ অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।