সন্দীপ সরকার, কলকাতা: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট কমতেই ১২ রাজ্যে স্কুল খুলেছে। এরাজ্যে পুজোর পরে পরিস্থিতি বুঝে স্কুল খোলার সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, শিশুদের ভ্যাকসিনেশন শুরুর আগে স্কুল খোলা আদৌ কতটা নিরাপদ? এই প্রেক্ষাপটে কিছুটা হলেও আশার কথা শুনিয়েছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের ‘এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিকেবল ডিজিজ’ বিভাগের প্রধান সমীরণ পণ্ডা। তাঁর দাবি, ৫৫ শতাংশ শিশুর মধ্যেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে! 


ICMR এর এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিকেবল ডিজিজ বিভাগের প্রধান সমীরণ পাণ্ডা জানান, ' অনেক দিন বন্ধ বলে স্কুল খুলতে হবে এমনটা উচিত নয়, তবে স্কুল খোলা উচিত কারণ, ৫৫ শতাংশ শিশু পপুলেশনের অ্যান্টি বডি আছে, স্কুল খুললেই বাচ্চারা হই হই করে ইনফেক্টেড হবে, মৃত্যু হবে, যারা এসব বলছেন, তারা ভুল বলছেন, ভাইরাল ইনফেকশন বাচ্চারা বড়দের থেকে ভালো হ্যান্ডল করে। ' 


আরও পড়ুন : C.1.2 New Strain Of Coronavirus : করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট C.1.2, এর উপর কতটা কাজ করবে ভ্যাকসিন ?


যদিও, এনিয়ে দ্বিধাবিভক্ত চিকিৎসক মহল। AIIMS-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, ' দেশের প্রতিটি শিশুকে ভ্যাকসিন দিতে অন্ততপক্ষে ৯ মাস সময় লাগতে পারে। সে জন্য আগামী বছরের মাঝামাঝি অবধি স্কুল বন্ধ রাখার কোনও মানে নেই। স্কুল খোলা যেতে পারে কিন্তু তার আগে সবার ভ্যাকসিনেশন হওয়া জরুরি। শিশুরা যখন ক্যাম্পাসে ঢুকবে, তখন যে কোনও রকম ভিড় এড়ানো উচিত। এমনকি টিফিনের সময়েও ভিড় এড়াতে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে যদি কোনও স্কুলে সংক্রমণ ছড়ায়, সেক্ষেত্রে স্কুল বন্ধ রাখাই উচিত। ' 


তবে চিকিৎসক মহলের একাংশ মনে করছেন, স্কুল খোলার আগে পরিস্থিতি আরও একটু দেখে নেওয়া উচিত। চিকিৎসক কাজলকৃষ্ণ বণিক জানাচ্ছেন, ' আমাদের একটু দেখে নিতে হবে, পুজোয় কতটা সংক্রমণ ছড়ায় তারপরই খোলা উচিত' 


আপাতত অপেক্ষা স্কুল খোলার। তবে পরিস্থিতি কতটা অনুকূলে আসবে, সেটাই দেখার বিষয়।