জয়ন্ত পাল, কলকাতা: বিধাননগর পুরসভার (Bidhannagar Municipality) ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ছে ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ এর জন্য পুরসভাকেই কাঠগড়ায় তুলছে। তাঁদের অভিযোগ, নিয়মিত আবর্জনা সাফাই না করার কারণে বাড়ছে ডেঙ্গি। পুরসভার পাল্টা দাবি, বিধি না মেনে যাঁরা যত্রতত্র জঞ্জাল ফেলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
করোনা তো আছেই, চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গিও (Dengue)। বিধাননগর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। এই ওয়ার্ডের অন্তর্গত বাগুইআটির (Baguiati) অর্জুনপুর এলাকায় ৬-৭ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। এলাকায় আবর্জনা পরিষ্কার না করার জন্যই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত, এই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের। এর জন্য পুরসভার দিকেই আঙুল তুলছেন তাঁরা।
ডেঙ্গি আক্রান্তের (Dengue affected) মা শিবানী দাসের কথায়, এখানে আবর্জনা জমে রয়েছে। পুরসভা পরিষ্কার করে না। আমার ছেলের ডেঙ্গি হয়েছে।
যদিও বিধাননগর পুরসভার (Bidhannagar Municipality) তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা বিধিনিষেধ না মেনে আবর্জনা ফেলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিধাননগর পুরসভার (Bidhannagar Municipality) প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য (স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রণয় রায়, জানিয়েছেন, যারা নোংরা ফেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিধাননগরের ৬টি বরোর জন্য টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে। সেই টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা আগামী ১২ নভেম্বর থেকে প্রতিটি বরোয় নজরদারি চালাবেন। টাস্ক ফোর্সে গঠন করে কী ডেঙ্গি মোকাবিলা করা যাবে? সেদিকেই তাকিয়ে বিধাননগরের বাসিন্দারা।
অক্টোবরের শেষে হাওড়া শহরে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ৮ বছরের বালিকার মৃত্যু হয়েছে। হাওড়া পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই বালিকাকে গত ২৩ অক্টোবর প্রবল জ্বর নিয়ে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়।
পরিবার সূত্রে খবর, অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরের দিনই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আজ সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় বালিকার। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, এলাকায় নিকাশি বেহাল। পুরসভার তরফে মশানিধন অভিযানও নিয়মিত হয় না। সেই কারণেই বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ।
এদিন মৃত বালিকার বাড়িতে যান হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য সুজয় চক্রবর্তী। চলতি মরশুমে ডেঙ্গির প্রকোপ তুলনামূলকভাবে কম বলে তাঁর দাবি।