বেলুড় : শ্রাবণের শেষ বেলা। প্রতিবছর এই সময় থেকেই ঘরে ঘরে শুরু হয়ে যায় পুজো উন্মাদনা, কেনাকাটি, পরিকল্পনা। কিন্তু গত বছর থেকে বদলেছে পরিস্থিতি। সেই সঙ্গে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে ঠাকুর দেখা, পাত পেড়ে পংক্তিতে বসে ভোগ খাওয়া এখন কষ্টকল্পনা। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ থাকার পর আস্তে আস্তে খুলছে দরজা। তবে তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক যেহেতু রয়েই যাচ্ছে, তাই এবারের পুজোটাও করোনা কড়াকড়ির মধ্যেই কাটাতে হবে বলেই মনে করছেন সকলে। করোনাকালের শুরু থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বেলুড় মঠে। দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হবে না। পুজোর নির্ঘণ্টপ্রকাশ করে মঠ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হল, এবারও গতবছরের মতো ওয়েবসাইটে পুজো দেখা যাবে।
আগামী ২৫, ২৬ ও ২৭ আশ্বিন, ১৪২৮ অর্থাত্ ১২, ১৩ ও ১৪ অক্টোবর, মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার এই তিনদিন বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে বেলুড় মঠে দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হবে। নিচে নির্ঘণ্ট দেওয়া হল।
শ্রীশ্রীশারদীয়া মহাপূজা, ১৪২৮
সময় নির্ঘন্ট
- ২৫ আশ্বিন (১২ অক্টোবর) |
সপ্তমী | পূজারম্ভ সকাল ৫.৪০মিঃ - ২৬ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর) | মহাষ্টমী | পূজারম্ভ সকাল ৫.৪০মিঃ
- কুমারী পূজা | পূজারম্ভ সকাল ৯.০০মিঃ
- সন্ধি পূজা | রাত্রি ৭.৪৪ – ৮.৩২ মিঃ I ২৭ আশ্বিন (১৪ অক্টোবর) |
- মহানবমী | পূজারম্ভ সকাল ৫.৪০মিঃ
- হোম | দেবীর ভোগারতির পর
- সন্ধ্যারতি : প্রত্যহ শ্রীশ্রীঠাকুরের আরতির পর
ভক্তরা চাইলে প্রণামী পাঠাতে পারেন। অনলাইন-এ প্রণামী পাঠাবার লিঙ্ক : https://donations.belurmath.org
গত বছরই করোনার জেরে ১৯ বছর পর রীতি বদল হয় বেলুড় মঠের! ২০০০ সালের পর সেই প্রথম বেলুড়মঠের মূল মন্দিরে দুর্গাপুজো হয়! মঠে প্রবেশাধিকার ছিল না সাধারণ দর্শনার্থীদের! পুজোস্থলে সন্ন্যাসীদের প্রবেশাধিকারও সীমিত ছিল। ছোট করে দুর্গাপুজো হয়। মূল মন্দিরে হবে দুর্গাপুজো। প্রসাদ বিতরণও করা হয়নি। মূল গেটের পাশে একটি অস্থায়ী কাউন্টারে পুজোর সামগ্রী জমা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল।