কলকাতা : জি ডি বিড়লা স্কুলের নোটিস খারিজ। গত ৯ এপ্রিলের নোটিস খারিজ করে দিল আদালত। কাল থেকে সব পড়ুয়াকে স্কুলে ঢুকতে দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, বকেয়া না মিটলে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে নোটিস দিয়েছিল স্কুল।


বকেয়া বেতন নিয়ে বারবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে জি ডি বিড়লা স্কুলে। এই নিয়ে অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখালে, আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যার কারণ দেখিয়ে, এমাসের শুরুতে তিনটি স্কুলের ৬টি ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়া হয়। ৪ দিন পর স্কুল খুললেও, যারা বকেয়া বেতন মিটিয়েছে, সেই পড়ুয়াদেরই স্কুলে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। এরই প্রতিবাদে হাইকোর্টে মামলা করেন অভিভাবকদের একাংশ। 


জিডি বিড়লা স্কুলের গেটে নোটিস টাঙিয়ে বলা হয়েছিল, যে সব পড়ুয়ার ফি মেটানো রয়েছে, সেই পড়ুয়ারাই ক্লাস করতে পারবে। যাদের ফি বকেয়া রয়েছে তাদের সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি নোটিসে। অর্থাত্‍, আগের অবস্থানেই অনড় ছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। যাদের ফি বকেয়া নেই, সেই পড়ুয়াদেরই স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়।  


এদিকে জিডি বিড়লাকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি চান অভিভাবকরা। 


' স্কুল হচ্ছে মন্দির ' 


গত বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ফি বকেয়া থাকলেও কোনও পড়ুয়াকে ক্লাস করা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। বিচারপতি বলেন, স্কুল হচ্ছে মন্দির, সেখানে এরকম হলে কিছু বলার নেই। আদালতের পক্ষে কি সব সময় নজর রাখা সম্ভব? মন্তব্য বিচারপতির।সব পড়ুয়াকে নতুন ক্লাসে উত্তীর্ণ করতে হবে এবং তাদের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। আটকে রাখা যাবে না মার্কশিট।


এরপর এদিন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, মৌসুমি ভট্টাচার্য ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, বকেয়া সংক্রান্ত বিষয় বিবেচনা করবে বিশেষ যুগ্ম আধিকারিক। আগামী ৬ জুনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে আদালতে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশের সাহায্য নিতে পারবেন বিশেষ যুগ্ম আধিকারিক। সব বেসরকারি স্কুলের নোটিস বোর্ডে আদালতের নির্দেশ ঝোলাতে হবে।